মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অধিকার কর্মী ও সুইডেনের গোটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী বিমানে করে এক আফগান আশ্রয়প্রার্থীর ফেরত পাঠানো একা ঠেকিয়ে দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ঐ আফগানকে সুইডেনের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে তিনি বিমানে নিজের আসনে বসতে অস্বীকার করেন।
প্রতিবাদরতা ছাত্রী এলিন এরসনকে তার আসনে বসানোর ও তার ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করার পর তিনি ঘটনাটি ভিডিওতে সরাসরি সম্প্রচার করতে শুরু করেন। সোমবার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
বিমানে সুইডেনের গোটেনবার্গ থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যাচ্ছিলেন এলিন। এ সময় তিনি ও অন্যান্য অধিকার কর্মীরা দেখতে পান যে ঐ বিমানে এক আফগান আশ্রয়প্রার্থীকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তিনি ফ্লাইট অ্যাটেন্ডান্টদের কাছে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাতে ফল না হওয়ায় তিনি পাইলটের কাছে যান ও দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এমন একজন লোককে নিয়ে বিমান উড্ডয়নে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য তার কাছে দাবি জানান। ভিডিওতে দেখা যায়, এতে যাত্রীরা চিৎকার করে বলে বসে পড়ুন, আমরা যেতে চাই। কিন্তু পনেরো মিনিট ধরে তার দাবিতে অনড় থেকে এলিন লড়াই চালিয়ে যান। ফেসবুকে এলিন বলেন, বিমানটিতে করে আফগান আশ্রয় প্রার্থীকে ফেরত পাঠানো হলে খুব সম্ভবত তিনি নিহত হবেন। এ সময় খুব সম্ভবত ইংরেজ এক ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি তার বসার দাবি জানান। তার ফোন কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এলিন তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার কাছে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, জীবন না সময়? লোকটি তাকে যাত্রীদের বিপর্যস্ত ও শিশুদের ভীত করার জন্য অভিযুক্ত করেন। লোকটি আরো বলেন, আপনার কথায় কিছু এসে যায় না। এক ফ্লাইট অ্যাটে›ডান্ট তার ফোন ফিরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় বিমান উড্ডয়ন বিলম্বিত হয়। বিমানযাত্রীদের অনেকে তাকে ভর্ৎসনা ও বিলম্ব করানোর জন্য তাকে অভিযুক্ত করেন। তবে ক্রমশ কিছু যাত্রী তার এ প্রতিবাদের মানবিক দিকটি দেখে তার সমর্থনে এগিয়ে আসেন।
ঘটনার সময় সুইডিশ বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ এলিনকে নিবৃত্ত করতে শক্তি প্রয়োগ করতে অস্বীকার করেন। তারা বলেন, ৫২ বছর বয়স্ক ঐ আফগান ব্যক্তিকে বিমান থেকে নামিয়ে নেয়া হয়। তার সাথের তিন নিরাপত্তা কর্মী ও শেষ পর্যন্ত এলিনকেও বিমান থেকে নামিয়ে নেয়া হলে গোটা বিমান করতালিতে মুখরিত হয়ে ওঠে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ঐ ব্যক্তির কোনো খবর দিতে পারেনি। ডিডব্লিউ জানায়, তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে তাকে দেশে পাঠানোর আবার চেষ্টা নেয়া হবে।
এ প্রতিবাদের জন্য এলিন এরসন ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন। এিেলন বলেন, তিনি কোনো বেআইনি কাজ করেননি। সুইডেনের আইনে এটা তার অধিকার। তবে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ তা মনে করে না। সুইডিশ আইনে কোনো বিমানযাত্রী পাইলটের নির্দেশ না মানলে জরিমানা বা ছয়মাসের কারাদন্ডের সম্মুখীন হতে পারে।
ঘটনাটি আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যাপারে সুইডেনের কঠোর নীতিকে তুলে ধরে। সেপ্টেম্বরে দেশটিতে নির্বাচন। অভিবাসী বিরোধী চরম ডানপন্থীরা নির্বাচনে ভালো করবে বলে ধারণা।
সুইডেনের অভিবাসন বোর্ড মনে করে , আফগানিস্তান একটি নিরাপদ দেশ। সে দেশের লোকদের আশ্রয় দেয়া নিষ্প্রয়োজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।