বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোট ডাকাতি, সন্ত্রাস, গুলাগুলি ও নজিরবিহীন অনিয়মের মধ্যদিয়ে সম্পন্ন হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বিপুল ভোটের ব্যাবধান মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল ছিল পর্যটন শহর কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে ৫ জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করলেও নির্বাচনে সন্ত্রাস ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন ৪ মেয়র প্রার্থী। তারা সরকারি দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাস ভোট ডাকাতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখান করেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মলনে বলেন, সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকার পক্ষে ভোট ডাকাতি শুরু করেছে। ৩৯ টি ভোট কেন্দ্রের সব কটিতেই তারা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে। এতে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেনি। তারা নিজেরাই ভোট দিয়ে বাক্সভর্তি করে। বিকেল সাড়ে তিনটায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরী সংবাদ সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপি সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম, জেলা সম্পাদক এড শামীম আরা স্বপ্না ও ইউসুফ বদরী। অন্যদিকে, বিকেল তিনটায় টেকপাড়ায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত পৃথক এক সংবাদ সম্মলনে একই অভিয়োগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন নাগরিক কমিটির প্রার্থী সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল।
তিনি বলেন, এমন কোন কেন্দ্র নেই যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে অনিয়েমের আশ্রয় নেয়া হয়নি। প্রকাশ্যে সিল মারতে হয়েছে।
একই অভিযোগে এবং একই সময়ে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টীর মেয়র প্রার্থী রুহুল আমিন শিকদার ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা জাহেদুর রহমানও নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে সকাল থেকে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল মারতে। ওমেদিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলার প্রার্থীর মাঝে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। বদর মোকাম কেন্দ্রে এবং ওমেদিয়া কেন্দ্র কিছুক্ষণের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।
কুতুবদিয়া পাড়া কেন্দ্রে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়।
বাহারছরা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের আশপাশে গুলি চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে একদল সন্ত্রাসী সব ব্যালট পেপার নিয়ে বাইর থেকে নৌকায় সীল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।