বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নুরুল বাহার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর তিন বছর পরে তিনি হয়ে উঠেন একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। এই নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিক ফলাও করে তার ছবি দিয়ে সংবাদ প্রচার করে। এই ঘটনায় চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম নেয়। মৃত্যুর তিন বছর পরে তিনি কিভাবে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হয়ে উঠেন। এই ঘটনায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার প্রমোদ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, নুরুল বাহার একজন ভারতীয় ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। মৃত্যুর তিন বছর পর উনাকে হ্যয় প্রতিপন্ন করতে যারা এই ধরনের কাজ করেছে আমি সকল মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং যারা এই ঘৃণ্য কাজটি করেছেন আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। কৃষক লীগের কুমিল্লা জেলা সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মমিনুর রহমান ফঠিক জানান, নুরুল বাহার এককালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি কখনো মাদক ব্যবসা তো দুরের কথা কোন অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন না। তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দেশ স্বাধীনের পরে চট্টগ্রামে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে সপরিবারে বসবাস করতেন। তিনি চট্টগ্রামস্থ চৌদ্দগ্রাম সমিতির সভাপতি ছিলেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়ীত্ব পালন করেন।
এ বিষয়ে মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল বাহারের ছোট ভাই মোঃ সেলিম জানান, বার বার নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাদকের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লিপ্ত ছিলেন। মরহুমের জনপ্রিয়তাকে এবং আমাদের পারিবারিক ঐহিত্যকে নষ্ট করার জন্য শত্রæতা বশতঃ তালিকায় এ নাম দিয়েছে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার সন্ধায় চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল ফয়সল জানান, নুরুল বাহার চেয়ারম্যান নামে কোন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা আমার থানায় নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।