পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাশিয়া বিশ্বকাপ জিতে দ্বিতীয়বারের মতো ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে দিদিয়ের দেশ্যমের দল ফ্রান্স। ফাইনালের এক সপ্তাহ পরেও ফ্রান্সে বিশ্বজয়ের আনন্দ উদযাপনের মধুচন্দ্রিমা এখনও চলছে। ফরাসি নাগরিকরা বলছে, এটা আমাদের জাতীয় জীবনের অনেক বড় একটি অর্জন। এটি প্রমাণ করেছে, একসঙ্গে কাজ করলে অনেক বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব।
একটি বিশ্বকাপ জয় অনেক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে ফ্রান্সে। তার মধ্যে অন্যতম মুসলিমভীতি। শুধু ফ্রান্স নয়; ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোতে গত কয়েক বছর ধরে মুসলিমভীতি প্রবল। যার পেছনে রয়েছে একের পর এক ইসলামী জঙ্গিদের হামলা; নৃশংস কায়দায় মানুষ খুন। এই জঙ্গিদের জন্য পুরো মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ভয় পেতে শুরু করেছে ইউরোপ-আমেরিকার অধিবাসীরা। বছর তিনেক আগেও ফ্রান্স ডুবে ছিল বহুবিধ রাষ্ট্রীয় সমস্যায়। চরম রূপ ধারণ করেছিল অর্থনৈতিক মন্দা। শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার হু হু করে বাড়ছিল। কমে যাচ্ছিল জীবনযাত্রার মান। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে যোগ হয়েছিল ইসলামী জঙ্গিদের একের পর এক হামলার ঘটনা। গত বছর প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ইমানুয়ের ম্যাখোঁ নির্বাচিত হওয়ার পর এই পরিস্থিতি বদলাতে থাকে।
এই প্রেসিডেন্টকেই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে প্রতিটি গোলের পর নাচতে দেখেছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। রাষ্ট্রীয় সমস্যা নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নিজের একটি মতামত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, দেশের নাগরিকরা বিভক্ত হয়ে গেছে। এই বিভক্ত জাতি দেশকে এগিয়ে নিতে পারে না। বিভক্তির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইউরোপের বিশ্বায়ন এবং মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দানের বিষয় এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।
তবে ফ্রান্সের অনেক কিছুই বদলে দেয় একটি বিশ্বকাপ জয়। রাশিয়ায় বিশ্বকাপে যাওয়া ২৩ সদস্যের ফরাসি স্কোয়াডের ১৫ জনই ছিলেন আফ্রিকান এবং আরবের অধিবাসী; যারা উন্নত জীবনের খোঁজে ইউরোপে এসেছিলেন। এদেও বেশিরভাগই মুসলিম। যে দেশে মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দানের বিরুদ্ধে এত বিদ্রোহ চলছিল; এই ১৫ খেলোয়াড় সেই আগুনে পানি ঢেলে দিল। এখন তারা ফ্রান্সের জাতীয় বীর। তাদের নিয়ে গর্ব করে ফ্রান্সের আসল অধিবাসীরা।
পল পগবা তো বলেই দিয়েছেন, ‹আজকের ফ্রান্স নানা রঙ্গে রাঙানো। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা অবস্থান করছে। তারা সবাই মিলে ফ্রান্সকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। আমরা সবাই ফ্রান্সকে অনুভব করি। আমরা খুব খুশি এবং গর্বিত জাতীয় দলের এই টি শার্টটি পরতে পেরে।›
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।