পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ক্রমেই গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে রাখাইন সংকট নিরসনে গঠিত মিয়ানমার সরকারের আন্তর্জাতিক প্যানেল- কমিটি ফর ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য রিকোমেনডেশন অন রাখাইন স্টেট। রাখাইন পরিস্থিতির তদন্ত শেষে কফি আনান কমিশনের পক্ষ থেকে সংকট নিরসনে যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের স্বার্থেই ওই আন্তর্জাতিক প্যানেলটি গঠন করা হয়েছিল। তবে শুরুতেই ৫ সদস্যের প্যানেল থেকে মার্কিন রাজনীতিবিদ বিল রিচার্ডসন পদত্যাগ করলে এর ভবিষ্যৎ সংশয়ের মুখে পড়েছে। এবার প্যানেলটির সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করা সাবেক থাই কূটনীতিক কবসাক চুটিকুলও পদত্যাগ করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কমিটির বিদেশি সদস্যদের স্বাধীনভাবে কাজের সুযোগও দিচ্ছে না মিয়ানমার। সবমিলে সংশয়ের মুখে পড়েছে প্যানেলটির কার্যকারিতা। খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে পরামর্শ দেয়ার জন্য মিয়ানমারের গঠিত আন্তর্জাতিক প্যানেলের সেক্রেটারির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন থাইল্যান্ডের সাবেক কূটনীতিক কবসাক চুটিকুল। এই পদত্যাগের ফলে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মিয়ানমার সরকারের এই উদ্যোগের বিশ্বাসযোগ্যতা বড় ধরনের ধাক্কা খেলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য কবসাক পদত্যাগের বিষয় ব্যাখ্যা করে জানান, স্থানীয় ও বিদেশী বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই প্যানেলটি এই সপ্তাহে নেপিদোতে তৃতীয় বৈঠক করেছে। জানুয়ারিতে প্যানেলটি গঠনের পর থেকে শিকলবন্দি করে রাখা হয়েছে এবং ছয় মাসে কোনও অর্জনই আসেনি। সাবেক এই থাই কূটনীতিক আরো জানান, ১০ জুলাই তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তার পদত্যাগের বিষয়টি প্রকাশ করা হয়নি। মিয়ানমার সরকার এই প্যানেলটি গঠন করেছিল এর আগের একটি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে পরামর্শ দেওয়ার জন্য। আগের প্যানেলটির দায়িত্বে ছিলেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান। কমিশনটি আনান কমিশন হিসেবে পরিচিতি পায়। কয়েক বছর ধরে রাখাইনের পশ্চিমাঞ্চলের উত্তেজনা নিরসনের উপায় বের করতে এই আনান কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কবসাক জানান, প্যানেলটিকে আন্তর্জাতিক তহবিল সংগ্রহ করতে দেওয়া হয়নি। এমনকি স্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করতে দেওয়া হয়নি। কমিটিকে বলা হয়েছে অনলাইনে বৈঠক করার জন্য। সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিরা প্যানেলের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্যানেলটির কর্মকাÐ সম্পর্কে কবসাক বলেন, বলেন দেখি তারা কী করছে? নেপিদোতে তারা সুস্বাদু নৈশভোজ করছেন এবং ঘুরে দেখছেন। আশঙ্কার কথা হলো এখন ইস্যুটি থেকে মনোযোগ সরানো হচ্ছে। এমন একটা প্রচারণা চালানো হচ্ছে যেন, অনেক কাজ হচ্ছে। প্যানেলের স্থানীয় সদস্য ও মিয়ানমারের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান উইন ম্রা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করছেন, প্যানেল কাজ করছে। তিনি বলেন, সরকার আমাদের পরামর্শ বাস্তবায়ন করছে এবং অগ্রগতি দৃশ্যমান হবে। কবসাকের সমালোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উইন ম্রা বলেন, কোনও অগ্রগতি নেই তা বলা যাবে না। শুক্রবার মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জাও তায়ের সঙ্গে মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স। তার মোবাইল বন্ধ ছিল। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।