পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ট্যাক্সি চালিয়ে বাড়িটি অনেক যতেœ তৈরি করেছিলেন ফিলিস্তিনি জিহাদ সোমারাহ। এখানেই তার সন্তানরা জন্ম নিয়েছে ও বেড়ে উঠেছে। দুই দশক ধরে বসবাস করা সেই বাড়িটি নিজ হাতেই ধ্বংস করে দিলেন তিনি ইসরাইলি দখলদাররা হানা দেয়ার আগেই। বৃহস্পতিবার জিহাদ সোমারাহসহ আরেকটি ফিলিস্তিনি পরিবার জানিয়েছে, ইসরাইলি দখলদাররা তাদের বাড়িতে হানা দেবে। চোখের সামনে সব কিছু দখল করে নেবে। তা সহ্য করতে পারব না বলে আমরা নিজেদের বাড়ি ধ্বংস করে দিয়েছে। পূর্ব জেরুজালেমের উপকণ্ঠে বাইত হানিনায় দুটি ভবনের ছাদ, মেঝ ও দেয়াল দুই ঘণ্টার মধ্যেই মাটিতে মিশিয়ে দেন তারা। ৫০ বছর বয়সী ট্যাক্সিচালক জিহাদ সোমারাহ বলেন, ২০০০ সালে ছয় কক্ষের ভবনটি তৈরি করেছিলেন তিনি। এতে সেখানে স্ত্রী, ছয় সন্তান ও স্বজনদের নিয়ে বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত বসবাস করে আসছিলেন। তিনি বলেন, নিজ হাতে আমি বাড়িটি বানিয়েছিলাম। এখানেই আমাদের শিশুরা জন্ম নিয়েছে ও বেড়ে উঠেছে। সেই বাড়িতে দখলদারদের দেখার চেয়ে ধ্বংস করে দেয়াই ভালো মনে হয়েছে। ইসরাইলি ল্যান্ড ফান্ড নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, একমাত্র ইহুদিরাই ইসরাইলে বসবাস করতে পারবে। ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে অধিকাংশ দেশই অবৈধ বলে আখ্যায়িত করে আসছে। সোমারাহ বলেন, বাড়িটি ধ্বংস করতে তার বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। দখলদাররা তাকে অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিলেও তিনি তা নিতে অস্বীকার করেছেন বলে জানান। তার আরেক প্রতিবেশী জেইনাত আবু রুমিলাহ আরেকটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়ির পাশে বসে কাঁদছেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দেয়া একটি তাঁবুতে তিনি বসবাস করছেন। তিনি বলেন, নিজের হাতে গড়া বাড়ির ওপর এই ধ্বংসযজ্ঞ আমার সহ্য হচ্ছে না। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।