Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গণতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র নাই

মহিউদ্দিন খান মোহন | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

আমাদের দেশে গণতন্ত্র আছে কী নেই, এ এক অমীমাংসিত বিতর্ক। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। সাধারণত যারা অর্থাৎ যে দল রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকেন তারা বলেন, দেশে গণতন্ত্রের ভরা মৌশুম চলছে, আর যারা ক্ষমতার বাইরে থাকেন তাদের ভাষায়, দেশের গণতন্ত্র চৈতালীখরায় আক্রান্ত। তবে, বাস্তবতা হলো, যে গণতন্ত্রের জন্য এদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে, কাঙ্খিত সে গণতন্ত্রের দেখা আজও মেলেনি। অবশ্য মাঝেমধ্যে গণতন্ত্রের সূর্য যে বাংলাদেশের আকাশে মুখ দেখায় নি তা কিন্তু নয়। তবে, তা ক্ষণিকের জন্য। অনাকাঙ্খিত কালো মেঘ এসে গণতন্ত্রের সে সূর্যকে ঢেকে দিয়েছে। এ যেন সেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের মতো- ‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না/ কেন মেঘ আসে হৃদয় আকাশে তোমারে দেখিতে দেয় না...’।
গণতন্ত্র নিয়ে আবারো বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা। গত ১৪ জুলাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দেশে আজ ন্যুনতম গণতান্ত্রিক স্পেস নেই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। এটা খুবই পরিতাপের কথা, আজ বাংলাদেশ সরকারের পুলিশ বিভাগ একটা ভয়ঙ্কর দুঃশাসনের কাজ করছে। অত্যাচার-নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।’ ১৫ জুলাই’র পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ওইদিন (১৪ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিাটউশনের সেমিনার কক্ষে জিয়া পরিষদ আয়োজিত বুদ্ধিজীবী সমাবেশ হতে দেয় নি পুলিশ পুর্বানুমতি ছিল না, এই অজুহাতে। অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেছেন মির্জা আলমগীর। জিয়া পরিষদ নেতারা বলেছেন, তারা সমাবেশের বিষয়ে পুলিশকে পূর্বাহ্নেই জানিয়েছিলেন এবং পুলিশের পক্ষ থেকে মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিএনপি বা অন্য কেউ সেমিনার করার জন্য লিখিত অনুমতি নিতে আসে নি। এজন্য হয়তো তাদের অনুষ্ঠান করতে দেয়া হয় নি।
এ ঘটনার দুইদিন পর (১৬ জুলাই) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘দেশে গণতন্ত্র না থাকলে বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করতে পারত না। মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে কটাক্ষ করতে পারত না। গণতন্ত্র আছে বলেই তারা যেখানে খুশি সেখানে সভা-সমাবেশ করতে পারছে।’ খবরে উল্লেখ না থাকলেও বোঝা যায় বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের পাল্টা জবাব হিসেবেই কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
দেশবাসী কারো বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্যের মাপকাঠিতে গণতন্ত্রের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি বিচার করতে চায় না। বিদ্যমান পরিবেশ-পরিস্থিতি থেকেই তারা বুঝে নিতে আগ্রহী গণতন্ত্রের অবস্থা কেমন। দেশে যদি পূর্ণমাত্রায় গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান থাকে, তাহলে মির্জা আলমগীর সাহেবরা তারস্বরে চিৎকার করলেও কেউ সে কথায় কর্ণপাত করবে না। আর যদি গণতন্ত্র না থাকে বা জনগণ সে অধিকার নির্বিঘেœ ভোগ করতে না পারে, তাহলে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা হাজারো কণ্ঠে ‘গণতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র আছে’ বলে গলা ফাটালেও কেউ তা বিশ^াস করবে না। সুতরাং বিএনপি মহাসচিব ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যকে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতির আলোকে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখাই বোধকরি শ্্েরয়।
যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিতর্কের পুনরুত্থান, বিষয়টি আমরা সে প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করি। যে অজুহাতে পুলিশ জিয়া পরিষদের অনুষ্ঠান করতে দিয় নি, তা গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ ভেবে দেখা দরকার। একটি সংগঠন তা সে অরাজনৈতিক বা রাজনৈতিক যাই হোক, তাদের সভা-সমাবেশ করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে কেন? আমাদের সংবিধানের কোথাও কি এ ধরণের কোনো বিধানের উল্লেখ আছে? সংবিধান তার ৩৬, ৩৭, ৩৮ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের দ্বারা নাগরিকদের চলাফেরা, সমাবেশ, সংগঠন এবং চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার নাগরিকের থাকিবে।’ সুতরাং এটা পারষ্কার যে, সংবিধানের কোথাও লেখা নেই যে, কোনো বৈধ সংগঠনের (যেটি আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ নয়) ঘরে বাইরে সভা-সমাবেশ বা মিছিল- শোভাযাত্রা করার আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। অবশ্য বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে বিশেষ কোনো এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার পুলিশের আছে। যেমন সংসদ অধিবেশন চলাকালীন জাতীয় সংসদভবন সংলগ্ন নির্দিষ্ট চৌহদ্দির মধ্যে সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ থাকে। আবার কোনো অনাকাঙ্খিত বা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে কিংবা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার পুলিশের আছে। এজন্য নির্দিষ্ট আইন রয়েছে এবং সে আইন প্রয়োগ করার বিধিবদ্ধ নিয়মও আছে। তবে, বেশিরভাগ সময় সে আইনের অপপ্রয়োগ হতে দেখা যায়। আর ইদানীং তা একটু বেশি পরিমানেই হচ্ছে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সভা-সমাবেশ করার আগে পুলিশের অনুমতি নেয়ার যে রেওয়াজ বর্তমানে চালু রয়েছে, তা আমাদের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কারণ, সংবিধান নাগরিকদের যে অধিকার দিয়েছে যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তা ভোগ করতে বাধার সৃষ্টি করছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, রাজনৈতিক দলগুলো ‘একান্ত বাধ্যগত ছাত্রে’র মতো সভা-সমাবেশ করার আগে পুলিশের অনুমতি প্রার্থনা করে চলেছে। এ রেওয়াজটি যে আমাদের সংবিধান পরিপন্থি এ কথাটি যেন তারা বিস্মৃত হয়েছে। নিয়মানুযায়ী সভা-সমাবেশ করার আগে পুলিশকে অবহিত করতে হবে, যাতে তারা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা বা উদ্ভ‚ত কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য পূর্বাহ্নেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারে। সে অবহিত করার নিয়ম এখন অনুমতি নেয়ার রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। দুভার্গ্যজনক হ’লো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো এটাকে একরকম নীরবেই মেনে চলেছে। ক্ষমতাসীন দলের তো কোনো সমস্যা নেই। পুলিশ তাকে অনুমতি দেয়ার জন্য সদা প্রস্তুত। কিন্তু বিরোধী দল? বিরোধীদল কেন এ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে না? কেউ কেউ মনে করেন, ক্ষমতায় গেলে বিরোধীদলও এটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে, এ আশাতেই একটি সংবিধানবিরোধী অনিয়মকে মেনে চলেছে। নাহলে বিষয়টি নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার কথা।
গণতন্ত্র আজ কোথায় কী আবস্থায় আছে তা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। ক্ষমতাসীন সরকার তার শাসনকে নিষ্কন্টক ও নির্ঝঞ্ঝাট করার লক্ষ্যে গণতন্ত্রের অনেক মূল্যবোধকেই যে অবজ্ঞা-উপেক্ষা করছে তা অস্বীকার করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজেকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে। কিন্তু কাজকর্মে সে দাবির প্রতিফলন ঘটাতে সে ব্যর্থ- এ অভিযোগ নিশ্চয়ই অমূলক নয়। অন্তত গত দশ বছরের হিসাব-নিকাশ তাই বলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে আওয়ামী লীগ বিরোধীদল, বিশেষত বিএনপিকে যেভাবে দমন করে চলেছে, তাকে আর যাই হোক গণতান্ত্রিক আচরণ বলে মেনে নেয়া যায় না।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। এটা একরকম নির্ধারিত হয়ে গেছে যে, পালাক্রমে এই দুই দলই বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা-যাওয়া করবে। অন্তত গত প্রায় তিন দশকের হিসাব তাই বলে। কিন্তু চলতি মেয়াদে আওয়ামী লীগের যে মনোভাবের পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে নানা কাজকর্মে, তাতে এটা ধরে নেয়া অমূলক নয় যে, সে রাষ্ট্রক্ষমতার চাবিটি আর হাতছাড়া করতে রাজি নয়। আর সে জন্যই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপিকে পর্যূদস্ত করতে, কারো কারো মতে নির্মূল করতে গণতন্ত্র ও মানবিকতার সব মূল্যবোধকে বিসর্জন দিতেও দ্বিধা করছে না। গত কয়েক বছর ধরে বিএনপি তার স্বাভবিক তৎপরতা চালাতে পারছে না। দলটির নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছে। রাজপথে কোনো কর্মসূচীই এ দলটিকে পালন করতে দেয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কারান্তরীণ। বিনা বিচারে তারা দিনের পর দিন আটক হয়ে আছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে যখন তখন একে ওকে তুলে নেয়া হচ্ছে। কেউ ফিরে আসতে পারছে, কেও বা হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে। যারা নিখোঁজ হচ্ছে তাদের লাশেরও সন্ধান পাচ্ছে না স্বজনরা। এটা কি কোনো সুস্থ সমাজের ছবি? এ পরিবেশকে কি কোনো যুক্তিতেই গণতান্ত্রিক বলা যায়?
বলা নিষ্প্রয়োজন যে, গণতন্ত্রের এই দুর্বল উপস্থিতির কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর সঙ্কটে নিপতিত হয়েছে। এ সঙ্কট দেশ ও জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে, তা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। গত ৬ জুলাই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রখিতে গিয়ে ওই বিশ^বিদ্যালয়েরেই প্রাক্তন ছাত্র, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আলী রিয়াজ মন্তব্য করেছেন, ‘অতীতে বাংলাদেশ যত ধরনের রাজনৈতিক সংকট বা অনিশ্চয়তার মোকাবেলা করেছে, এখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে তার আপাত সাদৃশ্য থাকলেও এবারের সঙ্কট অতীতের যে কোনো সময়ের চেযে ভিন্ন এবং আরো গভীর। এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, তা আসলে ‘হাইব্রীড রেজিম’ বা দো-আঁশলা ব্যবস্থা। এ ব্যবস্থায় দৃশ্যত গণতন্ত্রের কিছু কিছু উপাদান থাকলেও সেগুলো প্রধানত শক্তি প্রয়োগের ওপর নির্ভর করে। ফলে রাষ্ট্রের নিপীড়ক যন্ত্রগুলো আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে এবং তাদেরকে এক ধরনের দায়মুক্তি দেয়।
ড. আলী রিয়াজের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। কেননা, দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট এখন যে পর্যাযে আছে, সহসা তার পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা। প্রধান দুই দলের স্ব স্ব অবস্থানে অনড় থাকার দৃঢ় প্রত্যয় পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যেতে বসেছে। আর এ অবস্থার উদ্ভব হয়েছে গণতন্ত্রের দুর্বল অবস্থার কারণেই। গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ না ঘটায় তা মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। আমাদের দুভার্গ্য, রাজনৈতিক দলগুলো ততটুকু গণতন্ত্রে বিশ^াস করে, যতটুকু তাদের ক্ষমতায় যেতে ও টিকে থাকতে প্রয়োজন। এরা ক্ষমতার বাইরে থাকতে গণতন্ত্রের জন্য যতটা দরদ দেখায়, রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পেলে সেই গণতন্ত্রকেই পদদলিত করতে দ্বিধা করে না।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পথ কখনোই কুসুমাতীর্ণ ছিল না। সাতচল্লিশ বছরের পথ চলায় তাকে বার বার হোচট খেতে হয়েছে, মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে। বলতে দ্বিধা নেই, রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শিতাই এর প্রধান কারণ। এত ঘাত-প্রতিঘাতের আভিজ্ঞতা সত্তে¡ও আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব আজো দলীয় সঙ্কীর্ণতার উর্ধ্বে উঠতে পারেনি। ফলে একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা আজো অপূর্ণই রয়ে গেছে। আর সে জন্যই ক্ষমতার বাইরে থাকা দলকে ‘গণতন্ত্র নাই ’ বলে চিৎকার করতে হয়, ক্ষমতাসীন দলকে বলতে শোনা যায় ‘গণতন্ত্র আছে’।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।



 

Show all comments
  • kazi Nurul Islam ২১ জুলাই, ২০১৮, ১:৫২ এএম says : 0
    Gonotontrer dohai dea khomotay jaya ja konodin 5 lakh taka chokhay dekha nai othocho khomotay jaya 5 hajar koti takar malik hoya jay ar voter ra shai rokom aca. aaie jodi gonotontro hoy , not need .like this gonotontro.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ