হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির খড়গ : আসামের এনআরসি এবং বাংলাদেশ
কিশোর শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক দাবীর আন্দোলনে ঢাকাসহ সারাদেশে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছিল,
আওয়ামী লীগকে যেমন দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন বলা হয়, তেমন এর ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্র লীগকে বলা যায় দেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন। তবে মজার খবর এই যে, আওয়ামী লীগের চেয়েও তার ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্র লীগ বয়সে বড়। কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও অভিজ্ঞজনেরা সাক্ষ্য দেবেন, এটাই সত্য। বিশেষ করে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা জানেন, ভাষা আন্দোলনের জন্ম হয় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পর ১৯৪৭ সালেই তমদ্দুন মজলিস নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তমদ্দুন মজলিসের জন্ম হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায় মজলিসের পক্ষ থেকে “পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” শীর্ষক একখানি পুস্তিকা প্রকাশের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়।
এই পুস্তিকায় তিনটি লেখা স্থান পায়। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার অধ্যাপক আবুল কাসেম, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন এবং বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দৈনিক ইওেহাদ পত্রিকার সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীর সমর্থনে বিভিন্ন বক্তব্য প্রকাশ করেন তাদের রচনায়। তমদ্দুন মজলিসের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবুল কাসেম তাঁর লেখায় ভাষা আন্দোলনের মূল দাবীগুলি তুলে ধরেন এভাবে :
(এক) পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার মাধ্যম ও অফিস-আদালতের ভাষা হবে বাংলা।
(দুই) পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে দুটি : বাংলা ও উর্দু।
অধ্যাপক আবুল কাসেম তাঁর লেখায় তাঁর দাবীর সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন এভাবে : সমগ্র পাকিস্তানের জনসংখ্যার ৫৬% পূর্ব পাকিস্তানে বাস করে এবং তাদের মাতৃভাষা বাংলা। সুতরাং বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী খুবই নূন্যতম দাবী। তা ছাড়া পাকিস্তান আন্দোলনের মূল ভিত্তি ১৯৪০ সালের ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবে উপমহাদেশের মুসলিম-অধুষিত পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা ছিল। তার তুলনায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী খুবই ছোট দাবী। তবুও যে এ সম্পর্কে সুস্পট দাবী তোলার প্রয়োজন হয়েছিল, তার কারণ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ নতুন রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে অবাঙালী উর্দুভাষীদের আধিক্য। এই আধিক্যের সুযোগে তারা গোপনে গোপনে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে কোন আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হওয়ার পূর্বেই নতুন রাষ্ট্রের মানি-অর্ডার ফর্ম, পোস্ট কার্ড, এনভেলাপ প্রভৃতিতে ইংরেজ আমলের ইংরেজীর পাশাপাশি শুধু উর্দু ভাষার ব্যবহার দেখে। এই পটভূমিতে ১৯৪৭ সালেই ভাষা আন্দোলনের শুরু হয় এবং তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়াকে আহŸায়ক করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
এখানে উল্লেখ করতে হয় যে, পাকিস্তান আন্দোলন চলাকালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম ছাত্র লীগের মধ্যে আকরাম খাঁ নাজিমুদিন ও সোহরাওয়ার্দী আবুল হাশিম গ্রæপের সমর্থক দুটি উপদল ছিল। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারী শেষোক্ত উপদলটি পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ নামে স্বতন্ত্র ছাত্র সংগঠন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। এই ছাত্র সংগঠন জন্মলগ্ন থেকেই তমদ্দুন মজলিসের সুচিত ভাষা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দান করে। এদিকে পাকিস্তান গণপরিষদের কংগ্রেস দলীয় সদস্য ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত গণপরিষদে ইংরেজী ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও বক্তৃতা দানের সুযোগ দাবী করলে তাঁর দাবী প্রত্যাখ্যান করা হয়। এর প্রতিবাদে তমদ্দুন মজলিস ও পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্র লীগ ১৯৪৮ সালে ১৯ মার্চ সারা প্রদেশে ধর্মঘট আহŸান করে। এটাই ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম সফল ধর্মঘট। এ ধর্মঘটের প্রতি রেল কর্মচারীরা সমর্থন দান করাতে সেদিন চট্টগ্রাম থেকে কোন ট্রেন ঢাকা অভিমুখে রওনাই হতে পারেনি।
ঢাকার অবস্থা ছিল আরও ভয়ানক। ঢাকা সেক্রেটারিয়েটের চারদিকে ভাষা আন্দোলনের সমর্থকরা সকাল থেকে ঘেরাও করে রাখায় সেদিন সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকে সেক্রেটারিয়েটে প্রবেশ করতেই পারেননি। সেক্রেটারিয়েটের বিভিন্ন গেটে ধর্মঘট করার অভিযোগ অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। অনেকে পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হন। এই গ্রেপ্তার ও লাঠিচার্জের খবর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়লে অল্পক্ষণের মধ্যে সমগ্র সেক্রেটারিয়েটে এলাকা বিক্ষুব্ধ জন সমুদ্রের রূপ পরিগ্রহ করে। এই অবস্থা ১১ থেকে শুরু করে ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলতে থাকে। তদানীন্তন প্রাদেশিক চীফ মিনিস্টার খাজা নাজিমুদ্দিন পরিস্থিতির এই অবনতিতে ভয় পেয়ে যান। কারণ ১৯ মার্চ কায়েদে আজমের ঢাকা আসার কথা। তিনি এসে যদি ঢাকার এ পরিস্থিতি দেখতে পান, তাহলে নাজিমুদ্দিনের প্রতি তাঁর খুব খুশী থাকার কথা না। তাই খাজা নাজিমুদ্দিন নিজে উদ্যোগী হয়ে ভাষা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সকল দাবী দাওয়া মেনে নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং যাদের গ্রেপ্তার করা হয়ে ছিল তাদের মুক্তিদেন। এতে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হয়। তবে পরিস্থিতি আপাতত শান্ত হলেও ভাষাসৈনিকরা বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবী ত্যাগ করেননি এটা জানান দিতে ১৯৪৯, ৫০, ৫১ পর্যন্ত প্রত্যেক বছর ১১ মার্চকে রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসাবে পালন করতেন।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস সম্পর্কে এত কথা বলতে হয় এজন্য যে, এই সময়কালের ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিস ও ছাত্র লীগ পরস্পর সহযোগী প্রতিষ্ঠার হিসাবে কাজ করে। অনেক স্থানে (যেমন জামালপুর, বাগেরহাট প্রভৃতি) একই ঘরে পাশাপাশি ছিল উভয় সংগঠনের অফিস। এটা ছিল ছাত্র লীগের ইতিহাসের এক গৌরবজনক অধ্যায়। কথাগুলি বেশী করে মনে পড়ছে এজন্য, যে ছাত্রলীগের ছিল এমন গৌরবজনক ইতিহাস তার সর্বশেষ রূপ দেখে। পত্রিকার পাতা খুললেই এখন দেখা যায় ছাত্র লীগ-সম্পর্কিত এমন সব খবর যা পড়লে বিশ্বাস করতেই কষ্ট হয় যে এই সংগঠনেরই একদা ছিল গৌরবজনক ইতিহাস। এখানে এই সব খবরের মাত্র কয়েকটি তুলে ধরা হলো : (ক) দৈনিক ইনকিলাবে গত সোমবারের সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা।
(খ) প্রথম আলো পত্রিকায় গত সোমবার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : আবারও ছাত্রলীগের হামলা, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের হেনস্থা
(গ) দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীরা ফের ছাত্র লীগের হামলার শিকার।
গত মঙ্গলবার দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ছাত্র লীগের এসব অবাঞ্ছিত কর্মকাÐ যে সহজে বন্ধ হবে না, তার কারণ তাদের যারা মুরুব্বী, তারাই পরোক্ষ এসবে উৎসাহ দিচ্ছেন। সচিত্র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা বিভাগের ছাত্র লীগের হামলার বিচার দাবীর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনকালে ছাত্র লীগের মহড়ার সচিত্র প্রতিবেদন। এতে প্রমাণিত হয় ছাত্র লীগ অন্যদের উপর নিপীড়ন চালালেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ তারা বরদাশত করতে রাজী না। অর্থাৎ ছাত্রলীগের নিপীড়নের বিরুদ্ধে কাউকে প্রতিবাদ জানাতেও দেয়া হবে না। সংশ্লিষ্ট সকলকে তা মুখবুঁজে মেনে নিতে হবে। ছাত্রলীগ এবং তাদের মুরুব্বী সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতারা এমন কি প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসারদেরও যে পাত্তা দিতে রাজী না তার প্রমাণ মিলে দৈনিক ইনকিলাবে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে, সেখানে বলা হয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতা এক পুলিশ কমিশনারকে লাঞ্ছিত করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের দেশে কোন গণতন্ত্র চলছে? দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই নাকি বিরোধী দল বিএনপির নেতারা অগণতান্ত্রিক ভাষায় কথা বলতে পারছেন। তিন তিন বার অবাধ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে পেরেছিলেন যে বেগম খালেদা জিয়া তাঁবে ঠুনকো অজুহাতে বন্দী করে না রেখে যারা ক্ষমতায় টিকে থাকার এবং পুনরায় ৫ জানুয়ারীর মত ভোটারবিহীন নির্বাচনে পুনরায় একইভাবে ক্ষমতায় যেতে পরিকল্পনা করছেন তারা কতটা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন তা দেশবাসীর জানার আর বাকী নেই। কারণ যারা অতীতে স্বৈরাচারী শাসক এরশাদ-পরবর্তী সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রী মেয়াদ শেষে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন, পরবর্তীকালে সরকারে যেয়ে সংবিধান সংশোধন করে অতীত ভুলে গিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচনের জয়ের কোন ভরসা পাননি, তারা যে আসলে নির্ভেজাল গণতন্ত্রকে এবং অবাধ নির্বাচনকে যমের মত ভয় করেন, তার যে প্রমাণ তারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সিটি নির্বাচনে দিয়েছেন। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে দেশে সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পাওয়া এক রূপ অসম্ভব ব্যাপার, একথা বলাই বাহুল্য।
গণতন্ত্রের দেশের সকল দলমতের লোকদের সমান অধিকার দান অপরিহার্য। অথচ আমাদের দেশে আওয়ামী লীগ এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যেখানে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেত্রী যিনি তিন তিন বার অবাধ নির্বাচনে দেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাকে ঠুনকো অজুহাতে কারাবন্দী করে তার রাজনৈতিক কর্মকাÐকেই অসম্ভব করে রাখা ছাড়া বর্তমান সরকার প্রধান তাঁর নিজের ক্ষমতায় থাকা বা ক্ষমতায় ফিরে যাওয়া সম্ভব হবে বলে ভরসা পাচ্ছেন না।
এই বাস্তবতার আলোকে আজ প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রধান প্রশ্ন তিনি যে প্রকৃত গণতন্ত্রে ভয় পান এসত্য স্বীকার করে নিতে রাজী আছেন কি? যদি ভয় না পান তা হলে এরশাদ পরবর্তী আমলের প্রথম নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষে সংসদে বিরোধী দলের নেত্রী থাকাকালে নির্দলীয় তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবীতে যেভাবে উচ্চকণ্ঠ দাবী তুলেছিলেন, সেরকম দাবী তুলতে এখন সাহস পাচ্ছেন না কেন এ প্রশ্নের কী জবাব দেবেন তিনি? এতে তো প্রমাণিত হয় প্রধানমন্ত্রী প্রকৃত গণতন্ত্রে ভয় পান।
প্রকৃত গণতন্ত্রে যারা ভয় পান না, তারা অবাধ গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হতেও ভয় পান না। কারণ যে ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশের নিরাপদ ব্যবস্থা নিশ্চিত হয় না, তাকে আর যাই বলা হোক গণতন্ত্র বলা যায় না। যে ব্যবস্থায় শুধু কোন বিশেষ দল বা ব্যক্তির ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়, জনগণের স্বাধীন মতামতের প্রতিফলন হয় না, আর যাই হোক গণতন্ত্র নয়। যারা সেরকম ব্যবস্থা ছাড়া অন্য কোন ব্যবস্থার নির্বাচন দেয়ার সাহস পান না, তারা আর যাই হোক গণতন্ত্রে বিশ্বাসী নন। প্রকৃত গণতন্ত্রে বিশ্ববাসীদের নিজের ব্যক্তিগত বা দলগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে জনগণের স্বাধীন ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে চাইবেন। নইলে তাকে কিছুতেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলা উচিৎ হবে না।
মাননীয় সরকার প্রধান এ কঠিন সত্য স্বীকার করে নিতে রাজী আছেন কি? রাজী থাকলে তাঁকে তার প্রমাণ রাখতে হবে বাস্তব ক্ষেত্রে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।