বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেললেন। বলা যায় দলকে ফাইনালে তোলার মূল কারিগরই ছিলেন তিনি। দলের অধিনায়কও তিনি। জিতলেন গোল্ডেন বলও। কিন্তু পেলেন না ওই কাক্সিক্ষত শিরোপাটা, যার জন্য নিজের সবকিছুও বিসর্জন দিতে চান অনেক খেলোয়াড়ই। ঠিক এমন গল্পটাই লিওনেল মেসির। যা হয়েছিল গত বিশ্বকাপে। আর এবার একই রকম একটি গল্প লিখলেন ক্রোয়েশিয়ার লুকা মড্রিচও। ঠিক যেন একই চরিত্রের ভিন্ন দুই অভিনেতা।
ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হৃদয় ভেঙ্গেছিল আর্জেন্টিনার। চলতি আসরে তো দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায়। তাতে অনেকটা দায় কিংবা কৃতিত্ব আছে ক্রোয়েশিয়ারই। কারণ গ্রæপ পর্বে তাদের কাছে না হারলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতেও পারতো। তবে ফাইনালে খেলেছে ক্রোয়েটরাই। যোগ্য দল হিসেবেই। মাঠের খেলায় প্রাধান্য বিস্তার করেই।
আর তার প্রাণ ভোমরা ছিলেন মড্রিচ। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একের পর এক ম্যাচে নীরবে এমন বহু কীর্তি গড়েছেন। আলোচনায় আসেননি রোনালদোর ছায়া থেকে। তবে বিশ্বকাপে আপন আলোয় জ্বলে উঠলেন। নিজের জাতটা উপস্থাপন করলেন। আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার এখন তার হাতে। কিন্তু কতটুকু খুশি মড্রিচ?
সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার হাতে নিয়েও মলিন হাসি হেসেছেন। তবে খুশি হয়েছেন এবার অন্তত নিজের আলোয় জ্বলতে পেরে। তবে ইতিহাসের এতো কাছে এসেও তা গড়তে না পারার আক্ষেপটা যে ভুলতেই পারছেন না, ‘সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার পেয়ে আমি গর্বিত বোধ করছি। সবার অবিশ্বাস্য সমর্থন আমাকে আরও সুখি করেছে। আপনি জানেন হার সত্তে¡ও আপনি অনেক বড় কিছু পেতে পারেন। কিন্তু এতো কাছে এসে এটা খুব কষ্টদায়ক এবং সামান্য কিছু ঘাটতির কারণে।’
এদিন পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু ফুটবল দিন শেষে গোলের খেলা তাই আবার প্রমাণিত হলো। মড্রিচের ভাষায়, ‘আমাদের কোন আক্ষেপ নেই কারণ আমরা ম্যাচে সেরা দলই ছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কিছু উদ্ভট গোল তাদের পক্ষে গিয়েছে। তারা উৎসব করছে কিন্তু আমরা আমাদের মাথা উঁচুতে ধরতে পারছি। যখন আবেগ নিয়ন্ত্রণে আসবে তখন আমরা এটা আরও ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারবো।’
৪-২ ব্যবধানে হেরেছে ক্রোয়েশিয়া। দুটি গোল সেট পিস থেকে, বাকি দুইটি দূরপাল্লার শটের। ভাগ্যকে তাই দুষতেই পারেন মড্রিচ। এমন হারে হৃদয় ভেঙেছে তার। টলোমলো চোখে আড়াল করতে পারেননি। ঠিক এমনই এক কষ্ট নিয়ে গতবার ব্রাজিল ছেড়েছিলেন মেসি। হয়তো মাঠে তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী, কিন্তু মেসির কষ্টটা এদিন ঠিকই বুঝতে পেরেছেন মড্রিচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।