রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে অতিষ্ঠ পৌরবাসী। উপায় না পেয়ে অনেকে ব্যবসা কিংবা আবাসিক এলাকায় নিজ নিজ উদ্যোগে সংস্কার কাজ করেছেন। আর জনপ্রতিনিধিদের অযুহাত আমরা যতটুকু পারছি করছি, বেশি ভাল হবে না।
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের ১২ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক। দীর্ঘ দিন ধরে পরিস্কার না হওয়ায় ময়লা আর্বজনায় স্তুপ হয়ে আছে। ড্রেনেজের উপরের স্লাপগুলো বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় ভেঙে ভেঙে ড্রেনে পরছে, ফাঁকা হচ্ছে ড্রেনে উপরিভাগ। আর শহরের গুরুত্বপূর্ন রাস্তা নরেশ চৌহান সড়ক, হলপাড়া, বাজারপাড়া, চৌরাস্তা এলাকাসহ ঘনবসতি এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ, যা দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি। ফলে ভোগান্তির শেষ নেই পৌরবাসির। আর জনপ্রতিনিধিরা লোক দেখানো দায়সারা কাজ করে। কদিন পরেই তা আবার পুরোনো রুপ নেয়। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের চলাচল ভোগান্তি ও দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পরেছে।
শহরের অনেক ব্যবসায়ী পৌর কর্র্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যর্থ হলে হাজার হাজার টাকা খরচ করে প্রতিষ্ঠানের সামনের স্লাপ নিজেদের টাকায় নতুন করে ড্রেনের উপড় বসিয়েছেন। কিন্তু আর পাকা রাস্তার মধ্যে ড্রেনের স্লাপ ভেঙে পরায় পথচারিদের দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে।
পৌর কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে পৌর এলাকার সর্বমোট পাকা রাস্তা ৬৫ কি.মি. কাঁচা রাস্তা ৪৫ কি.মি. ড্রেন ২৮ কি.মি.। এর মধ্যে ভাল রাস্তা ৩৫ কি.মি. ভাংগাচোরা ৩০ কি.মি.। ২৮ কি.মি. ড্রেনের মধ্যে ৮ কি.মি. প্রসস্তকরন করা হয়েছে। আর বাকিগুলো পর্যায় ক্রমে করা হবে।
পৌর শহরের চৌহান সড়কের ব্যবসায়ী আসরাফ আলী, বাবুলুর রহমান, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে জানান, বর্তমান মেয়র নির্বাচিত হওয়ার ড্রেনেজ ও রাস্তার কোন কাজ হয়নি। অথচ পৌর কর নিয়মিত প্রদান করছি আমরা। বারবার বলা সত্যেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন কাজ করছেন না। উল্টো এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজু বলেন যতটুকু পারছি করছি। এর চেয়ে বেশি হবে না। বেশি কথা বললে এ গাড়ি ময়লা এনে ফেলে দেয়া হবে। উনার প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যে হতাশ ও ক্ষুদ্ধ পৌরবাসি। আমরা জনপ্রতিনিধির কাছে এমন বক্তব্য আশা করি না। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এ বিষয়ে মেয়র ফয়সাল আমিনের সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া না গেলে প্যানেল মেয়র জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।