Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ড্রেনেজ সঙ্কটে ভোগান্তিতে সিরাজদিখানবাসী

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০২ এএম

সিরাজদিখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। একটু বৃষ্টিতে এবং বাসা-বাড়ির ময়লা পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। উপজেলা মোড় থেকে গোয়লবাড়ি মোড় হয়ে শিশু চিকিৎসক প্রবীর কুমারের বাড়ি হয়ে নাহার কোল্ডস্টোর পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি রাস্তার পাশ দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য স্থানিয়রা দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন ঘনবসতির কারণে পুকুর ডোবা ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টিতেই রাস্তাসহ বাড়ির আঙিনায় পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাই উপজেলাবাসীর এখন একটাই দাবি দ্রæত সময়ের মধ্যে ড্রেন নির্মাণ করে দেয়া হোক।
সন্তুষপাড়া গ্রামের হাবিব সরকার বলেন, আমার বাড়ির ময়লা পানির জন্য যে হাউজ রয়েছে তা ভড়ে গেছে। এখন পানি যাওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে দুর্গন্ধসহ পোকা মাকড় সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সরকারিভাবে ড্রেন না হলে কিছুই করার থাকবে না। আমারমত এ সমস্যায় অনেকেই রয়েছে।
রাজদিয়া গ্রামের মোটরগ্যারেজের মালিক নাদবী বলেন, বৃষ্টির পানি ও মোটরসাইকেলের ওয়াসের পানি যাওয়ার মত কোন ব্যবস্থা না থাকায় পানি জমে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। এখানে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলে এ সমস্যা দূর হয়ে যেত।
সিরাজদিখান বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই বাজারে পানি যাওয়ার কোন রাস্তা নাই। বাজারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে খাল ছিল। সে খালদুটো ভরাট করার পর বৃষ্টি পানি জমে হাটু পরিমাণ হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, সিরাজদিখান মাছ বাজারের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজের প্রয়োজন।
সিরাজদিখান উপজেলা প্রকৌশলী সোয়াইব বিন আজাদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখে পরের অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়নের কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড্রেনেজ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ