Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রথম ইসলামী সৌর ক্যালেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ মুসলমানদের অনুসরণ করা কর্তব্য - সেমিনারে বক্তগণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মুসলিম রচিত পূর্ণাঙ্গ ও প্রথম ইসলামী সৌর ক্যলেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’। এর আগে প্রবর্তিত সকল ক্যালেন্ডার ছিল লুনি-সোলার সমন্বিত ক্যালেন্ডার। মুসলিম প্রবর্তিত সর্বপ্রথম ও একমাত্র সোলার বা সৌর ক্যালেন্ডারের শামসী সাল গণনা শুরু হয়। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বছর এবং যে মাসে ওফাত লাভ করেন, অর্থাৎ পহেলা রবিউল আউয়াল থেকে। তাই ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ অনুসরণ করা সকল মুসলমানদের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাশাপাশি বাংলদেশ সরকারসহ মুসলিম বিশ্বের উচিত সারা মুসলিম বিশ্বে এই ক্যালেন্ডারের প্রচলন করা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সর্বপ্রথম ইসলামী সৌর ক্যলেন্ডার ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।
সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বিশিষ্ট চাঁদ ও মহাকাশ গবেষক এবিএম রুহুল হাসান। এছাড়া ইসলামের আলোকে সৌর বা শামসী সনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, মুসলমানদের চাঁদের ক্যালেন্ডারের (হিজরি ক্যালেন্ডার) পাশাপাশি প্রয়োজন একটি সূর্যভিত্তিক রচিত সৌরসাল। বর্তমানে ইরান ও আফগানিস্থানে লুনি-সোলার (চাঁদ ও সূর্যের সমন্বয়ে) ক্যালেন্ডার ব্যবহৃত হলেও মুসলমানদের রচিত পূর্ণাঙ্গ সৌরসাল কোন মুসলমান দেশেই প্রচলিত নেই। তাই গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে নতুন সৌরসাল ‘আত তাকউইমুশ শামসী’ বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বে প্রচলন খুবই জরুরি।
বক্তারা বলেন, বর্তমানে ইরান, আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, নেপাল তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। এদেশগুলো কখনো ইউরোপীয় উপনিবেশ মেনে নেয়নি। ভারত উপমহাদেশে বৃটিশরা প্রথম ১৭৫৭ সালের দিকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নিয়ে আসে। মূলত এটি আমাদের কোন ক্যালেন্ডার নয় বরং জোর করে চাপিয়ে দেয়া একটি সৌরসাল। তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, উত্তর কোরিয়া, জাপান নিজেদেরমত করে একটা ক্যালেন্ডার ব্যবহার করছে। ভারত, ইসরাইল, চাইনিজরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায়িক কারণে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার মেনে নিলেও নিজ নিজ দেশের প্রশাসনিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম পালনের লক্ষ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। ভারতে ইউরোপীয় উপনিবেশ থাকার কারণে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করতে বাধ্য হয়েছে সত্য, কিন্তু এখনো অনেক প্রদেশের প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কাজসমূহ তাদের স্ব স্ব ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পালিত হচ্ছে। এই দেশগুলো কেবল তাদের ধর্মীয় উৎসবের তারিখ নির্দিষ্ট করার জন্যই নয় বরং জাতিগত সত্ত্বা বজায় রাখার জন্যেও যার যার নিজস্ব ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে থাকে। তাহলে সারাবিশ্বের মুসলমানদের উচিৎ তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখার জন্য ইসলামী সৌর সাল ব্যবহার ও প্রচলন করা। শামসী সন অনুসরণের মধ্যে দিয়ে মুসলমানগণকে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্মরণ করতে হবে।
সেমিনারে আলোচকরা আরো বলেন, আল্লাহ পাক এরশাদ করেন ‘তোমরা কাফির মুশরিকদের অনুসরণ করোনা’। তাই মুসলিম জাতিকে তার নিজস্ব স্বকীয়তা ধারণ করার চেষ্টা করা উচিত। এ কারনে মুসলিম জাতির পক্ষ থেকে এই শামসী সন রচনা করেছেন ঢাকা রাজারবাগ পীর সাহেবেব আওলাদ হযরত উমাম আল মানসুর মাজিয়া। সেমিনারে বক্তাগণ, সরকারিভাবে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বে এই শামসী ক্যালেন্ডারের প্রচলন ও প্রচারের আহবান জানান।



 

Show all comments
  • Ashik Ahmed ১৬ জুলাই, ২০১৮, ৮:০১ পিএম says : 0
    খুবই ভাল উদ্দ্যেগ। ইন শা আল্লাহ এখন থেকে মুসলমানদের এই ক্যালেন্ডার অনুসরণ করার চেষ্টা করব।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুসলমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ