পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশের গুরগাঁও শহরের ৮ এলাকায় প্রকাশ্যে নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নগর প্রশাসন। বুধবার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুরগাঁও নগর প্রশাসন কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘মুসলমানদের জুমার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহের বাইরে মোট ৩৭টি খোলা স্থান বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির কারণে এই ৩৭টি স্থানের ৮টিতে নামাজ আদায়ের জন্য না যেতে মুসলিমদের আহবান জানানো হচ্ছে। এতদিন গুরগাঁওয়ের মুসলিমরা মসজিদ, ঈদগাহ ছাড়াও এই ৩৭টি স্থানে জুমার নামাজ পড়তেন। মঙ্গলবার প্রশাসনের আদেশের পর এই সংখ্যা বর্তমানে নেমে এসেছে ২৯টিতে। যে ৮টি স্থান প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে তার ৪টিই গুরগাঁওয়ের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা ৪৯ নম্বর সেক্টরে। এছাড়া জাকারান্দা মার্গ অঞ্চলের ডিএলএফ এলাকায় ৩টি এবং সুরাট নগর অঞ্চলে ১টি স্থান রয়েছে এই তালিকায়।
গুরুগাঁও পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার আমান যাদব এনডিটিভিকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকার অমুসলিম বাসিন্দারা প্রকাশ্যে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় তারা প্রতিবাদী সমাবেশও করেছেন। সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ার অভিযোগে গত সপ্তাহে এ রকম এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আমান যাদব। গুরুগাঁওয়ের ডেপুটি কমিশনার ইয়াশ গার্গ বিষয়টি স্বীকার করে এনডিটিভিকে বলেন, মসজিদ, ঈদগাহ এবং ২৯টি এলাকায় আপাতত মুসল্লিদের জুমার নামাজ আদায়ে কোনো বাধা নেই। তবে মসজিদ ও ঈদগাহর বাইরে যে ২৯টি স্থানে এখনও জুমার নামাজ আদায় হচ্ছে, কোনো এলাকার বাসিন্দারা আপত্তি জানালে সেখানেও একই আদেশ জারি করা হবে। সূত্র : এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।