বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
২০০৭ সালের পর থেকে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ভাগাভাগি করে আসছেন ফুটবলের সবথেকে বড় ব্যক্তিগত পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। পাঁচবার করে এ পুরস্কার জিতেছেন তারা। ২০১৮ সালেও কি একই পুনরাবৃত্তি হবে? নাকি ইতিহাস পাল্টাবে। সবথেকে বড় কথা মেসি ও রোনালদোকে এই সময়ে চ্যালেঞ্জ করতে পেরেছেন খুব কম খেলোয়াড়। ২০১০ সালে জাভি ও ইনিয়েস্তা এবং ২০১৩ সালে ফ্রাঙ্ক রিবেরি ব্যালন ডি’ অরের যোগ্য দাবীদার ছিলেন। কিন্তু ওই ভোটাভুটিতেই কপাল পুড়ে তাদের।
বিশ্বকাপে বছর এলে অবশ্য বিশ্লেষকদের ভাবনার পরিধি একটু কমে বৈ-কি। বিশ্বসেরার মুকুট পড়াতে তখন খুব একটা বেগ পেতে হয় না তাদের। সেই হিসেবে ফুটবল বোদ্ধারা মনে করেছিলেন এবার অন্তত নেইমার তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। কিন্তু বিশ্বকাপের বাজে পারফরম্যান্সের পর নেইমারের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন অনেকে। মেসি ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য পেলেও বিশ্বকাপে ছিলেন ফ্লপ। অন্যদিকে রোনালদো কিছুটা হলেও এগিয়ে আছেন বিশ্বকাপে গোল করার কারণে। তাদের দুজন বাদে পাঁচজন এবার ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবীদার। ইউরোপের গণমাধ্যমগুলো এমনটাই দাবি করছে।
এদের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্সের দুজন কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আঁতোয়ান গ্রিজম্যান, ক্রোয়েশিয়ার লুকা মড্রিচ, বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রæইন ও ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন। এই পাঁচ তারকাই ক্লাবের হয়ে সেরা সাফল্য পেয়েছেন গত মৌসুমে। এখনও তারা বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে টিকে আছেন। বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা খুলে দিতে পারে ব্যালন ডি’ অরের পথও।
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের হয়ে এবার লিগের শিরোপা জিতেছেন এমবাপ্পে। নেইমারও জিতেছেন একই শিরোপা। নেইমার রাশিয়ায় জ্বলে উঠতে না পারলেও এমবাপ্পে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জোড়া গোল করে রাতারাতি সবার নজরে আসা এমবাপ্পের ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। মাত্র দুটি জয় তাকে একধাপ এগিয়ে নিবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তখন ভোটাভুটিতেও এগিয়ে যাবেন এমবাপ্পে। সতীর্থ গ্রিজমানও একই লড়াইয়ে আছেন। অ্যাথলেটিকো মাড্রিদের হয়ে গ্রিজম্যান জিতেছেন ইউরোপা লিগ এবং বিশ্বকাপ মঞ্চে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাড্রিদের হয়ে লা লিগার শিরোপা জিততে না পারলেও টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছেন লুকা মড্রিচ। তার নেতৃত্বে ক্রোয়েশিয়া উঠেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপ মঞ্চে ক্রোয়েশিয়ার জার্সিতে তার উপস্থিতি অসাধারণ। মাঠে তার দাপুটে ফুটবল এবং অবদান রাখার ক্ষমতা দিন দিন আরও বেড়ে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো ক্রোয়েশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুললে ব্যালন ডি’অর জিততেও পারেন মড্রিচ।
বেলজিয়ামের কেভিন ডি ব্রæইনকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালে গোল করে ব্রাজিলকে বিদায় করেন ডি ব্রæইন। বেলজিয়ামকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতাতে সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছেন ব্রæইন। এর আগে ক্লাব ম্যানচেষ্টার সিটিকে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জেতাতে অবদান রাখেন। বেলজিয়াম দলে এডেন হ্যাজার্ড ও রেমেলু লুকাকু থাকলেও লাইমলাইটে আছেন ব্রæইনই। ব্যালন ডি’অর জয়ে সবথেকে বেশি আলোচনায় ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনের। বিশ্বকাপে ৬ গোল করে সবার ওপরে হ্যারি কেইন। ইংলিশ লিগে টটেনহ্যাম হটস্পারকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও এই স্ট্রাইকার মৌসুমে ৩০ গোল করেছেন।
ব্যালন ডি’ অর ট্রফিটি জানান দেয় ফুটবলারদের ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের। এই ট্রফিকে ঘিরেই আনন্দ-উচ্ছ¡াস কিংবা রোমান্টিকতার বাড়াবাড়ি। এবারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে হাসে সেটাই দেখার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।