রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামের মাঠে থাকবেন ৪৫ লাখ ক্রোয়াট খেলোয়াড়। এমনটাই মনে করেন ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। এখানেই এবারের বিশ্ব্কাপের ফাইনাল ম্যাচে আজ মুখোমুখী হবে ৯৮’ বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স এবং ওই আসরের তৃতীয়স্থান অর্জনকারী দল ক্রোয়েশিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ফ্রান্স তৃতীয়বার বিশ্বকাপের ফাইনালে খেললেও এই প্রথমবারের মতো খেলছে ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ সালে নিজেদের অভিষেক বিশ্বকাপে খেলতে এসেই সবাইকে চমকে দিয়েছিল ক্রোয়াটরা। বিশ্ব ফুটবলের পরাশক্তিগুলোকে পেছনে ফেলে তারা জিতেছিল তৃতীয় সেরার পুরস্কার। সেই ক্রোয়েশিয়াই এবার নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপে এসে পৌঁছে গেল স্বপ্নের ফাইনালে। নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপের সেমিতে যেই ফ্রান্সের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে ক্রোয়াটদের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তারাই এবার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া প্রতিপক্ষ। মাত্র সাড়ে চার মিলিয়ন বা প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের বসবাস ক্রোয়েশিয়ায়। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এত কম জনসংখ্যার কোনো দেশ এর আগে কখনো ফাইনালে খেলেনি। ক্রোয়াটরাই প্রথমবারের মতো গড়ল এই ইতিহাস। এমন সাফল্যে আনন্দে উত্তাল পুরো ক্রোয়েশিয়াই। ফাইনাল ম্যাচে মাঠের খেলায় মূলত ১১ জন ফুটবলার খেললেও অদৃশ্য খেলোয়াড় হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার সকল নাগরিকই লুঝনিকিতে উপস্থিত থাকবেন বলে বিশ্বাস রাকিটিচের। এ ম্যাচটি পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য ঐতিহাসিক উল্লেখ করে রাকিটিচ বলেন, ‘বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি শুধুমাত্র মাঠে থাকা ১৪-১৫ জন খেলোয়াড়ের জন্য ঐতিহাসিক নয়। পুরো ক্রোয়াট জাতির জন্য এটি বিশেষ এক ম্যাচ। ফাইনাল ম্যাচের দিন মাঠে পুরো ৪৫ লাখ মানুষ থাকবে! সবাই নিজেদের মতো করে খেলবে এই ফাইনাল।’ এ সময় নিজ দেশের ফুটবল উন্মাদনা সম্পর্কেও ধারণা দেন রাকিটিচ। তিনি জানান, লুঝনিকিতে যদি জায়গা দেয়া যেত তাহলে ৪৫ লাখ মানুষের সবাই রাশিয়ায় চলে আসতো।
বার্সেলোনার এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘গত এক মাসে ক্রোয়েশিয়া থেকে আসা কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখুন। তাহলেই বুঝবেন বিশ্বকাপ কতটা ছুঁয়ে গেছে আমাদের মানুষদের। এটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। সবার ঐক্যবদ্ধতা, একত্রে আনন্দে করা, সম্মান, গর্ব, অহঙ্কার; এগুলো আসলে বর্ণনা করা সম্ভব না। স্টেডিয়ামে যদি জায়গা থাকতো তাহলে ৪৫ লাখ মানুষ দিয়ে এটি ভরা থাকতো।’