বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল। তাও স্বাধীনতার ২৭ বছর পার না হতেই। ক্রোয়েশিয়ার জন্য এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে? কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে নামার আগে যে দুঃসংবাদই শুনতে হচ্ছে তাদের। দলের সেরা প্রায় সব খেলোয়াড়ই যে ইনজুরিতে জর্জরিত।
মাত্র ৪১ লক্ষ্য মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া। ১৯৫০ সালে উরুগুয়ে বিশ্বকাপ জয়ের পর তারাই এতো ছোট দেশ হয়েও ফাইনালে খেলছে। রোববার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে স্বপ্নের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তারা। প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বিশ্বকাপ চায় দলটি। কিন্তু তাতে শঙ্কা জেগেছে খেলোয়াড়দের ইনজুরির কারণে।
সবচেয়ে বড় শঙ্কাটা ইভান পেরিসিচকে নিয়ে। সেমিফাইনাল জয়ের মূল নায়ক যে ছিলেন তিনি। গোল করেছেন। আবার করিয়েছেনও। ম্যাচের পরই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। উরুর ইনজুরির কারণে তার স্ক্যানও করানো হয়। রিপোর্ট খুব খারাপ না আসলেও ফাইনালের আগে ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম।
সে ম্যাচে ইনজুরিতে পড়েছেন মারিও মানজুকিচও। অতিরিক্ত সময়ে তার দেওয়া গোলেই ফাইনালের টিকেট পায় দলটি। গোল দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ জ্লাতকো দালিচ। তবে তার ইনজুরি খুব গুরুতর কিছু নয় বলে জানিয়েছে তারা। ক্রাম্প করায় ফাইনালে খেলতে সমস্যা হচ্ছে না। একই সমস্যা ইভান স্ত্রিনিচেরও। তবে তিনিও মুক্তির পথেই বলে জানিয়েছে দলটি।
এছাড়াও দলের অন্যতম সেরা তারকা ইভান রাকিতিচও জ্বরে ভুগছেন। ফাইনাল খেলেছেন ১০২ ডিগ্রি জ্বর নিয়েই। তবে আশার কথা জ্বরের মাত্রা কমেছে তার। ফাইনালের আগে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী ম্যানেজমেন্ট। আর সেমিফাইনাল জয়ের পর তিনি তো বলেই দিয়েছেন, ‘প্রয়োজনে পা ছাড়াই ফাইনালে খেলতে নামবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।