বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
এইতো বছর দুই আগের কথা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছিল ফ্রান্স। নিজেদের মাঠে প্রতিপক্ষ ছিল পর্তুগাল। দলের সেরা তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো খেলতে পেরেছিলেন অল্প সময়ই। কিন্তু তারপরও হারতে হয়েছিল শক্তিশালী ফ্রান্সকে। সেই দলের ম্যানেজার ছিলেন দিদিয়ার দেশমই। দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ও ছিলেন। তাই এবার দারুণ সতর্ক দলটি।
দুই বছর আগে সে ফাইনালেও ফেভারিট ছিল ফরাসীরা। এবারও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কাগজে কলমে এগিয়ে তারা। কিন্তু ক্রোয়েটদের নিয়ে ভাবতেই হচ্ছে তাদের। ইতিহাসের কারণেই। এর আগে ২০০৬ বিশ্বকাপের ফাইনালেও হারে দলটি। দারুণ ছন্দে থাকা জিনেদিন জিদানের এক ভুলেই সব শেষ। আর গত ইউরোর হারটা তো এখনও দগদগে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে রোনালদো ইনজুরিতে পড়ায় অনেকে ফ্রান্সকে তখনই চ্যাম্পিয়ন ভেবেছিল। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের গোলে হারতে হয় তাদের।
সে আসরের আগে সন্ত্রাসীদের সিরিজ হামলায় ক্ষতবিক্ষত ছিল ফ্রান্স। তাই একটা শিরোপা উপহার দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিল দলটি। হয়নি। তাই হারের ক্ষতটা একটু বেশিই কষ্টকর ছিল দেশমের জন্য। বলেছিলেন, ‘জাতির ব্যর্থতা।’ তাই এবার বেলজিয়ামের বিপক্ষে জয়ের পর আইফেল টাওয়ারের নিচে হাজারো সমর্থকদের আনন্দ কিছুটা হলেও তৃপ্তি দিয়েছে তাকে। আনন্দ করেছেন দলের খেলোয়াড়রাও। তাদের আনন্দটা দু চোখ ভরেই দেখেছেন। বিশ্বকাপ জিতে এর পূর্ণতা চান।
তাই খেলোয়াড়দের সতর্ক করে দিয়েছেন দেশম। পুরনো সব কথা ভুলে সামনের দিকেই নজর দিতে বলেছেন তিনি, ‘বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আমরা নিজেদের অনেক সুবিধা দিয়েছি। কিন্তু এক বছর আগেও আমি এমন একটা জায়গায় ছিলাম... যেটা ছিল অনেক কষ্টদায়ক। তাই আমরা সেমিফাইনাল জয়ের স্বাদটা নিতে চেয়েছিলাম। ইউরোতে হারার পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল জয় সামান্য কিছু ছিল না।’
২০ বছর আগে বিশ্বকাপ জয় করেছিল ফ্রান্স। সে দলের অধিনায়ক ছিলেন দেশম। বর্তমান দলের কিছু খেলোয়াড়ের তখন জন্মই হয়নি। বিশ্বকাপ জয়ের গর্বটা অনুভব ঠিকভাবে করতে নাও পারেন তারা। তাই এবার নতুন ইতিহাসটা নিজেদেরই লিখতে বললেন তিনি, ‘তোমাকে তোমাদের সময়ে বসবাস করতে হবে। আমি আমার ইতিহাস তুলে ধরিনি। তারা এটা জানে। তাদের অনেকের তখন জন্মই হয়নি। তবে তারা ছবিতে দেখেছে। এটাই। এখন ভিন্ন গল্প। আমি এখন তাদের সঙ্গে আছি ইতিহাসে নতুন কিছু পাতা লিখতে। কিছু সুন্দর পাতা।’
আজ রাতে স্বপ্নের ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ এবার আসরের চমক দেখানো দল ক্রোয়েশিয়া। লুকা মড্রিচ, ইভান রাকিতিচ, মারিও মানজুকিচদের সমন্বয়ে গড়া দলটি খেলছে দারুণ। তাই তাদের সমীহ করেই নামছে ফরাসীরা। তবে পল পগবা, কিলিয়ান এমবাপে, আতোঁয়ান গ্রিজম্যানরা যদি নিজেদের সেরাটা খেলতে পারেন তাহলে ইতিহাসটা নিজেদের পক্ষে লেখা খুব কঠিন কিছু হবে না ফরাসীদের জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।