অসময়ে প্রায় সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক গতিতে বেড়ে চলেছে। গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৬ এবং ২৭ ডিগ্রি সে.। এ সময় শ্রীমঙ্গল ও রাঙ্গামাটি ছাড়া দেশের কোথাও তেমন উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়নি।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন এবং এর পরের ৫ বৃষ্টিপাতের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ফলে বর্ষার স্বাভাবিক মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণে আরও দেরির আভাসই মিলছে। বর্তমানে বর্ষার মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কিছুটা সক্রিয় হলেও উত্তর বঙ্গোপসাগরে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
আজ (রোববার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বন্দরে সতর্ক সঙ্কেত
আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল এবং গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।