যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পানি পানের সময় সাবধানতা আবলম্বন করা উচিৎ কারন খাবার ফাঁকে আতিরিক্ত পানি ডেকে আনবে ভয়ানক বিপদ। বেশিরভাগ মানুষই খাবার সময় ঘন ঘন পানি পান করেন৷ তবে খাবার জন্য যে পানি খাওয়া একান্ত প্রয়োজন তা কিন্তু একেবারে নয়৷ অভ্যাসবশতই বেশির ভাগ মানুষ এটি করে থাকেন৷ তবে যারা এমন করে থাকেন তারা নিজের অজান্তেই পাকস্থলীর হজম শক্তিকে ব্যহত করছেন৷
অনেকেই ভাবেন খাবার ফাঁকে পানি খেলে খাবার তাড়াতাড়ি পাকস্থলীতে পৌঁছতে সাহায্য করে তা কিন্তু একেবারই নয়৷ এতে হজমশক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ খাওয়ার সময় পাকস্থলী রেচক রস নিঃসরণ করে যা হজমে প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে, কিন্তু ওই সময় পানি খেলে তা ওই রসকে পাতলা তরলে পরিণত করে৷
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, অল্প পানি খেলে ক্ষতি হয় না তবে এক গ্লাস বা তার বেশি পরিমাণ পানি অবশ্যই ক্ষতিকর৷ খাওয়ার দুঘন্টা পর এবং খাবার এক ঘণ্টা আগে পানি বা পানীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা৷ এতে খাদ্য হজমের পাশাপাশি শরীর পুষ্টি উপাদান গ্রহণে সক্ষম হয়৷ পানির সঙ্গে পাচকরস মিশে যে সমস্যার সৃষ্টি করে তা হল এটি খাদ্য বিপাকের জন্য আরও বেশি পাচক রস নিঃসরণে বাধা দেয়৷ ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না, যা থেকে বুক জ্বালা ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা উদ্ভব হয়৷
গরমে প্রথমত সবারই পানি পিপাসা বেশি লাগে। তাই পানিও বেশি পান করা হয়। তবে পানি পানে একটু বেখেয়ালি হলেই সর্বনাশ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। পান করা পানি যদি বিশুদ্ধ না হয় তাহলে শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করে। এ থেকেই ঝামেলা বাঁধে। রাস্তা ঘাটে আখের রসসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদির শরবত, সালাদ ও জুস বিক্রি করা হয়। সে সব থেকে সাবধান থাকতে হবে। শীতের তুলনায় গরমে পানি পিপাসার পরিমাণ বেশি লাগে বিধায় অনেকেই যত্রতত্র বাইরের এসব তরল জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন। যা মোটেও উচিত নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।