পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আলোচিত দুটি হত্যা মামলার আসামি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমার ওপর হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল দুপুরে খাগড়াছড়ি আদালত এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ হামলা হয় বলে সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু জানান। এঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। চঞ্চু মণি চাকমাকে (৪৫) খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার পর জনতার সহায়তায় পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চঞ্চুমনি চাকমা ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে সাতভাইয়াপাড়া বীনা উপকেন্দ্র থেকে শহরে ফেরার পথে আদালত সংলগ্ন খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে আসলে সেখানে মোটরসাইকেল যোগে আসা দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে মোটরসাইকেল থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এক পর্যায়ে তিনি দৌড়ে পালাতে গিয়ে ডাকঘরের দুই নম্বর গেটের সামনে পড়ে গেলে ৫/৬ জন যুবক তাকে এলোপাতাড়ি ইট দিয়ে মারতে থাকে। এ সময় তাদের ইটের আঘাতে তার মাথা ফেটে যায়। এ সময় স্থানীয়রা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নয়নময় ত্রিপুরা বলেন, মাথায় আঘাত লাগায় চঞ্চুমনি চাকমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
ওসি শাহাদাত জানান, চঞ্চু মণি চাকমা দুমাস আগে ঘটা নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা এবং তার পরদিন ইউপিডিএফ নেতা তপন জ্যোতি চাকমাসহ ৫ হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করার কথা জানালেও তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি।
এ হামলার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছে প্রসীত বিকাশ খীসা সমর্থিত ইউপিডিএফ। ইউপিডিএফের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিরন চাকমা গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসীরা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমাকে অপহরণে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।