পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে ২০১৫ সালে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বেপরোয়াভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গরু রক্ষার নামে মুসলিমদের ওপর সহিংসতা চালানোর ঘটনা এগুলোর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রকাশিত ২০১৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ক্রমাগত হামলার শিকার হয়েছেন। হামলাকারীর মধ্যে শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা ছিল না। দেশটিতে গরু জবাইয়ের অভিযোগে মুসলিমদের ওপর আক্রমণসহ ধর্মের নামে এমন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালানো হয়েছে, যা রক্তক্ষয়ী হামলা ও দাঙ্গার সূত্রপাত ঘটিয়েছে। হিন্দু উগ্রবাদীরা মুসলিম ও খ্রিস্টানদের হুমকি দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ও তাদের সম্পত্তি নষ্ট করেছে।
সবার ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মা, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাত্তারসহ মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নেতা তার ওই প্রতিশ্রুতির বিপরীত বক্তব্যই দিয়েছেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষা করবেন। অথচ পরে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, ‘মুসলিমরা ভারতে থাকতে পারবেন, কিন্তু তাদের গরুর গোশত খাওয়া ছাড়তে হবে।’
মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত ধর্মীয় স্বাধীনতা-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কমিশন চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি প্রতিবেদনে যে তথ্য তুলে ধরেছিল, পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে তাই প্রতিফলিত হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়। সূত্র : দি হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।