বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
জন্ম আর বেড়ে ওঠা সুইজারল্যান্ডে, খেলছেন ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দলে, বিয়ে করেছেন স্পেনে আর ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলছেন স্প্যানিশ লিগে। ক্রোয়েশিয়ান তারকা মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচের গল্পটা এমনই।
বলকান যুদ্ধের পর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের আরও অনেক অঞ্চলের মতো নিজেদের আবাসস্থলকে স্বাধীন ঘোষণা করে নাম রাখে ক্রোয়েশিয়া। রেকিটিচের বাবা-মা ছিলেন ক্রোয়েট। যুদ্ধের সময় তাদের পরিবার চলে যায় সুইজারল্যান্ডে। সেখানেই বাস শুরু করেন তারা। ১৯৮৮ সালে জন্ম হয় রেকিটিচের। সুইজারল্যান্ডের মোহলিনে বেড়ে উঠতে থাকেন রেকিটিচ। এরপর রেকিটিচের পরিবার ফেরেন নিজেদের দেশ ক্রোয়েশিয়ায়।
মোহলিনের রিবুর্গ ক্লাবে ১৯৯২ সালে মাত্র চার বছর বয়সে খেলা শুরু করেন রেকিটিচ। ১৯৯৫ সালে যোগ দেন সুইজারল্যান্ডের ক্লাব বাসেলে। ২০০৭ সালে সুইস ক্লাব বাসেল ছেড়ে রেকিটিচ চলে যান জার্মান ক্লাব শালকেতে। সেখান থেকে ২০১১ সালে নাম লেখান স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াতে। আর ২০১৪ সালে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় নাম লেখান রাকিটিচ। এখনও সেখানেই খেলছেন।
রাকিটিচের বাবা লুকা রেকিটিচ এবং ভাই দেজান রেকিটিচও ছিলেন ফুটবলার। ভাইয়ের নামের ট্যাটুও দেখা গেছে রেকিটিচের বাহুতে। ২০১৩ সালে স্প্যানিশ রাকুয়েল মাউরিকে বিয়ে করেন রাকিটিচ। ২০০৭ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক হয় তার। এরপর খেলেছেন ৯৭ ম্যাচ, গোল করেছেন ১৫টি। ক্লাব ক্যারিয়ারে খেলেছেন ৫৪৫টি ম্যাচ, গোল করেছেন ৯১টি। ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এবার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বকাপ জেতার।
রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ৩০ বছর বয়সী রাকিটিচের ক্রোয়েশিয়া। আগামী ১৫ জুলাই লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে নামবে ক্রোয়াটরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।