বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
কাইরন ট্রিপিয়েরের গোলে ৫ মিনিটেই যখন পিছিয়ে ক্রোয়েশিয়া, একটু কি বুক কাঁপছিল ক্রোয়েশিয়া কোচ জøাতকো দালিচের! আগের দুই ম্যাচের কথা মনে পড়লে অবশ্য তেমনটি হবার কথা নয়। দুই ম্যাচেই যখন ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া, এই ম্যাচেও তো সেটাই হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই, ঘুরে দাঁড়ানোর হ্যাটট্রিক করেই ম্যাচটা জিতে স্বপ্নের ফাইনালে নাম লেখালো ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের ইতিহাসেই কেউ যা করতে পারেনি আগে!
১৯৮৬ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হওয়ার পর নকআউট পর্বে এই প্রথম ক্রোয়েশিয়াই তিনটি ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে শেষ পর্যন্ত জেতে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ডেনমার্কের সঙ্গে খেলার শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল, খানিক পরেই অবশ্য গোল শোধ করে দেয়। রাশিয়ার সঙ্গেও শুরুতে পিছিয়েই পড়েছিল, তার পর ক্রামারিচের গোলে ফেরে সমতা। অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া, পরে সেটা ফিরিয়ে দেয় রাশিয়া। দুইটি ম্যাচেই জিতেছে টাইব্রেকারে। আজও শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পর ক্রোয়েশিয়াই শেষ পর্যন্ত হেসেছে শেষ হাসি।
আরেকটা দিক দিয়ে একটুর জন্য প্রথম হতে হতে হয়নি ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯০ সালের ইংল্যান্ডের পর ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয় দল, যাদের টানা তিনটি ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে বেলজিয়াম ও ক্যামেরুনের সঙ্গে ইংল্যান্ড অতিরিক্ত সময়ে গিয়ে যেতে। তবে শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালে গিয়ে টাইব্রেকারে হেরে যায় জার্মানির কাছে। ২০১৪ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনারও তিনটি ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল, তবে টানা তিনটি নয়। ফাইনালেও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের পরে গেলে এখানে নতুন একটা ইতিহাসই হয়ে যাবে।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাসও খুব বেশি নেই। কাকতালীয়ভাবে সর্বশেষ যে দলটি বিশ্বকাপে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, সেই ফ্রান্স এটা করেছিল ক্রোয়েশিয়ার সাথে। ডেভর সুকারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর লিলিয়ান থুরামের দুই গোলে হেরেছিল ক্রোয়েশিয়া। সবশুদ্ধ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে প্রথমে গোল খেয়ে ফাইনালে ওঠার এটি সপ্তম উদাহরণ। ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে, ৩৮ সালে হাঙ্গেরি, ৫৮তে সুইডেন, ইতালি ও ব্রাজিল ১৯৭০ বিশ্বকাপে এবং ১৯৯৮ তে ফ্রান্স। আর এবার করল ক্রোয়েশিয়া।
ক্রোয়েশিয়া হল সেমিফাইনালে ওঠা ১৩তম ভিন্ন দেশ। আগের ২০ আসরে ১২টি দেশ ঘুরে ফিরে ফাইনাল খেলেছে। এবার নতুন দেশ হিসেবে ফাইনালে এসেছে ক্রোয়েশিয়া। ভাগ্যবিধাতা তাদের শেষ ষোলো থেকে যেভাবে বর দিচ্ছে তাতে করে ১৫ জুলাই বিশ্ব ফুটবল নতুন চ্যাম্পিয়ন পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।