বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
ম্যাচ শুরু স্থানীয় সময় রাত নটায়। কিন্তু সকাল থেকেই উৎসবমূখর মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম চত্বর। দিনভর উৎসব করেছে ইংল্যান্ড ও ক্রেয়েশিয়া দুই দলের ভক্ত-সমর্থকরাই। কিন্তু দিন শেষে তা বজায় রাখতে পেরেছে ক্রোয়াটরা। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ইংলিশদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
অর্ধ শতাব্দী পর বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার স্বপ্নে বিভোর ছিল ইংলিশরা। সেই স্বপ্ন আরো উজ্জ্বল হয় ম্যাচের শুরুতেই কিরান ট্রিপিয়ারের দারুণ ফ্রি-কিক গোলে। প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর আরো কয়েকটি সুযোগও ছিল তাদের সামনে। তা তো হয়-ই নি, উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে ইভার পারিসিচের গোলে সমতায় ফেরা ক্রোয়াটদের অতিরিক্ত সময়ে (১০৯তম মিনিটে) চূড়ান্ত বিজয় উপহার দেন মারিও মানজুকিচ। ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বমঞ্চে সুযোগ পেয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়ে সেমিফাইনালে খেলেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২০ বছর পর আরেকটি মড্রিচ-রাকিটিচদের নিয়ে গড়া সোনালী প্রজন্মের হাত ধরে তারা জায়গা করে নিলো ফাইনাল মঞ্চে। ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় দল হিসেবে নক আউট পর্বের তিন ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে জিতল ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে চাপে পড়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ডি বক্সের সামনে থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে দলকে এগিয়ে নেন কিরান ট্রিপিয়ার। আসরে ইংলিশদের করা বারো গোলের মধ্যে এটি ছিল সেট পিস থেকে করা নবম গোল। ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডারের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল এটি। ক্রোয়াট ওয়ালের উপর দিয়ে পাঠানো ট্রিপিয়ারের শট সুবাসিচের নাগালের অনেক বাইরে দিয়ে জালে আশ্রয় নেয়। প্রথমার্ধেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করে ইংল্যান্ড। সুবাসিচকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি হ্যারি কেইন, খানিক বাদে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে শট নেন লিঙ্গার্ড। বলের দখল রেখে চাপ বাড়ায় ক্রোয়েশিয়াও কিন্তু জালের দেখা পায়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে বলের দখল নিয়ে চাপ বাড়াতে থাকেন লুকা মড্রিচ-ইভান রাকিটিচরা। এর ফল মেলে ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে। ডান প্রান্ত থেকে সিমে ভারসালকোর লম্বা ক্রস কাইল ওয়ালকারের মাথার সামনে থেকে বাঁ পায়ের দক্ষ ফ্লিকে স্কোরবোর্ডে সমতা আনেন ইভান পারিসিচ। দুই মিনিট পর ইন্টার মিলান স্ট্রাইকারের শট দুরের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। গোল পেয়ে উদ্দিপ্ত ক্রোয়াটরা আক্রমণের ধার বাড়িয়ে কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে আর জালের দেখা পায়নি।
অতিরিক্ত সময়ে খেলার গতি আরো বাড়ায় ক্রোয়েশিয়া। ইংলিশদের কোনঠাসা করে জয়সূচক গোলও পেয়ে যায় তারা। পারিসিচের ফ্লিক হেড থেকে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে দারুণ দক্ষতায় ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডকে ফাঁকি দেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড মানজুকিচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।