প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের বয়স নিয়ে নানা বিভ্রান্তি চলছে। তার বয়স এখন ৪৬ বছর! এ নিয়ে তর্কবিতর্ক চলছে। এ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন তিনি। তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার বয়স নিয়ে যে বিভ্রান্তি চলছে তা সত্যি নয়। অবশ্য উইকিপিডিয়ায় জয়া আহসানের যে প্রোফাইল দেয়া আছে, তাতে তার জন্ম তারিখ জুলাই ১, ১৯৮২ উল্লেখ করা আছে। এ হিসেবে তার বয়স হয় ৩৬। তবে তার সমালোচনাকারীরা বলছেন, এ তথ্য সঠিক নয়। জয়া আহসানের ক্যারিয়ার বিচার করলে তার বয়স ৪০-এর উপরে হবে। সমালোচকদের উদ্দেশে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন, ইদানিং ২/১ টি বিষয় আমাকে কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষ করে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন পত্রপত্রিকা/ উইকিপিডিয়ার তথ্যসূত্র টেনে আমার বয়স নিয়েও বেশ চর্চা করছেন। বলা হচ্ছে, আমার বয়স নাকি ৪৬! গুজব-গুঞ্জণ আমি বরাবরই খাবরের লবণের মতো উপভোগ করে গিয়েছি। দু-একজন সমবয়সী কিংবা আমার চেয়ে বয়সে বড় শ্রদ্ধাভাজন সহকর্মী (বিশেষ করে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী) গণমাধ্যমে নিজেদের অধিকার মনে করে আমার বয়স (ভুল তথ্য) নিয়ে চর্চা করেছে-বিষয়টি মজার। তাই এতদিন উপভোগ করেই গিয়েছি। তবে খুব সম্ভবত আমার চুপ থাকাটাকে অনেকে ওমৗনতা সম্মতির লক্ষণ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। নিন্দুকেরাও অস্ত্র হিসেবে আমার বয়সের ভুল তথ্য প্রচার করে আনন্দ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে আমি প্রথম ও শেষবারের মত সবার উদ্দেশে বলতে চাই, বয়স নয়, একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় হওয়া উচিত তার কাজে। ৪৬ কিংবা ৫৬ কিংবা তার চেয়েও বেশি বয়স হলেই অভিনেত্রীরা কাজের অযোগ্য কিংবা তাৃেণ্যদীপ্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারবেন না, এমন ধারণা বিশ্বের কোনো চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিই পোষণ করে না। তাই ব্যক্তি জয়া আহসানের যে বয়স, তা নিয়ে আমি এতটুকু বিচলিত নই। তবে ভুল তথ্য প্রচার করে উদ্দেশ প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার উদ্দেশে অনুরোধ করছি। বিশেষ করে আমার কাজ যারা পছন্দ করেন, দায়িত্বশীল যেসব সাংবাদিক আমাকে নিয়ে দুকলম লেখার মতো যোগ্য মনে করেন, তারা ভবিষ্যতে বিষয়টি সংবেদনশীলভাবে দেখবেন বলেই আশা করছি। জয়া শুধু বয়সই নয়, অন্যান্য ভুল তথ্য নিয়ে কথা বলেন। তার ভাষ্যে, কারণ প্রকৃত সত্য হলো, ৪৬ বছর আগে আমার বাবা-মার বিয়ে তো দূরের কথা, দেখাও হয়নি। এতদিন বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছি। তবে ইদানিং বিষয়টি মাত্রাতিরিক্ত আকার ধারণ করায় পরিবার ও কাছের বন্ধুদের অনুরোধে লিখতে বাধ্য হয়েছি। সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ, একজন শিল্পীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরার আগে নূন্যতম একবার তার সাথে কথা বলা উচিত। কারণ শুধু বয়স ভুলের তথ্যই নয়, বিভিন্ন মাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, আমার বাড়ি ব্রা²ণবাড়িয়ায় (প্রকৃত তথ্য : গোপালগঞ্জ)। শুধু তাই নয়, আমার বাবার নামও লেখা হয় আলী আহসান সিডনী (প্রকৃত তথ্য : অভিনেতা জিতু আহসানের বাবা প্রখ্যাত অভিনেতা সৈয়দ আলী আহসান সিডনী। আমার বাবা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ)। রয়েছে আরো অনেক ভুল তথ্য। আশা করছি, ভুল শুধরে ভবিষ্যতে আমরা প্রতিটি শিল্পী স¤পর্কে সঠিক তথ্য জানার চেষ্টা করব। কারণ ভক্তরা যেমন তার পছন্দের শিল্পী স¤পর্কে ভুল তথ্য কিংবা ভুল ব্যাখ্যা পড়তে পছন্দ করেন না, শিল্পীরাও প্রতি নিয়ত ভুল তথ্য দিয়ে ভক্তদের বিভ্রান্ত করতে চান না। জয়া বলেন, যারা আমার কাজ অপছন্দ করেন কিংবা যারা আমাকে অপছন্দ করেন, তাদের আমি অপছন্দ করিনা। বরং তাদের ব্যাপারে আমি আরো অনেক বেশি যত্মশীল। গঠনমূলক সমালোচনাই তো একজন শিল্পীকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। আমি আমার অভিনয় জীবনে বরাবরই সমালোচকদের দেখানো পথে চলার চেষ্টা করেছি। তবে শুধুমাত্র বলার জন্য বলা, এমন নেতিবাচক মন্তব্য কখনো আমার ভেতর প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে আমি নির্ভার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।