বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
ফ্রান্স আবারও বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে। এই আনন্দে যখন ভাসছে পুরো ফ্রান্স, ঠিক তখনই এর উল্টো চিত্র ফুটে উঠেছে রাজধানী প্যারিসে। সেখানে এক দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। উচ্ছৃংখল ফুটবল ভক্তরা পুলিশের সঙ্গে সহিংসতায় মেতে ওঠে। পুলিশের দিকে তারা ‘মিসাইল’ ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয় পুলিশকে। অন্যদিকে উপকূলীয় শহর নাইচ এলাকায় পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। সেখানে জায়ান্ট স্ক্রিনে খেলা দেখতে সমবেত হয়েছিল বিপুল সংখ্যক মানুষ। অকস্মাৎ তার পাশে আতশবাজি ফোটানো হয়। একে বন্দুকের গুলি ও সন্ত্রাসী হামলা মনে করে হুড়োহুড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। লন্ডনের অনলাইন মিরর লিখেছে, বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিজয়কে সেলিব্রেট করতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক ভক্ত দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নাজুক পর্যায়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা প্যারিসে অবস্থিত বিখ্যাত চ্যাম্পস এলিজি এভিনিউয়ের দিকে জিনিসপত্র ছুড়ে মারতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। উত্তেজিত জনতাকে কোথাও কোথাও ব্যারিকেড ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্লাস্টিকে তৈরি ব্যারিকেড, ধাতব রেলিং এমনকি সোফা পর্যন্ত ছুড়ে ফেলা হয়েছে রাস্তার ওপর। ফরাসিদের বিজয়কে উদযাপন করতে গিয়ে কয়েক হাজার মানুষ এগিয়ে যেতে থাকে স্মৃতিসৌধ আর্ক ডি ট্রিও¤েফর দিকে। এ সময় রাস্তায় তারা যা পেয়েছে তাই ছুড়ে মেরেছে পথের ওপর। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা পুলিশ ও সশস্ত্র সাজোয়া যান। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার পর উচ্ছৃংখল এসব মানুষ ধাতব বেষ্টনী ভেঙে ফেলে। সেইন নদীর তীরে সিটি হলের বাইরে সমবেত হয়েছিল একদল সমর্থক। তারা সেখানে ধোয়ার কুন্ডলি জ্বালিয়ে তাদের বিজয়কে উদযাপন করে। মিরর অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।