Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জীবন রক্ষার প্রতিদান!

নারায়ণগঞ্জে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সব কিছু উজাড় করে যেই বন্ধুকে বাঁচিয়েছেন সেই বন্ধুর হাতেই খুন হতে হলো তাকে! কঠিন রোগে আক্রান্ত পিন্টু দেবনাথকে বিদেশে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করেছিলেন বন্ধু প্রবীর ঘোষ। অথচ বন্ধু প্রবীর ঘোষকেই পরিককল্পিতভাবে হত্যা করে লাশটি টুকরা টুকরা সেপটিক ট্যাংক ফেলে দেন বন্ধু পিন্টু দেবনাথ।
২১ দিন নিখোঁজ থাকার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের ৫ টুকরা লাশ গত সোমবার রাত ১১টায় পিন্টু দেবনাথের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার কওে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার মঈনুল হক। পুলিশ জানায়, পিন্টু ও প্রবীর সুদের ব্যবসা করত। কিছু টাকা পিন্টুর কাছে থাকায় পিন্টুর সঙ্গে প্রবীরের বিরোধ ছিল। কুমিল্লার সীমান্ত এলাকায় প্রবীর ঘোষের মোবাইলটি ব্যবহারের সন্ধান পায় পুলিশ। ওই সময় গ্রেফতার করা হয় পিন্টুর দোকানের কর্মচারী বাপন ভৌমিক বাবুকে। তার দেয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় পিন্টুকে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, পরিবারের জিডির ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত শুরু হয়। গত ৫ জুলাই তদন্তের দয়িত্ব নেয় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পিন্টু ও বাপেন ভৌমিক প্রবীর চন্দ্র ঘোষকে হত্যা করে লাশ গুম করেছে বলে স্বীকার করে তারা। তাদের দেয়া তথ্যমতে, উদ্ধার অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরে আলম বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন প্রবীরকে পিন্টুর ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে তারা। ওই ফ্ল্যাটেই হত্যাকান্ডের পর প্রবীরের লাশ টুকরা করে বস্তায় ভরে সেপটিক ট্যাংকে গুম করা হয়। পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, প্রবীর ঘোষের ভাই সৌমিক ঘোষ ইতালি প্রবাসী। সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠানো হয় প্রবীর ঘোষের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে ওই টাকা লেনদেন হতো প্রবীর ও পিন্টুর মধ্যে।
প্রবীর ঘোষের পরিবার জানায়, তারা একে-অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দুই বছর আগে পিন্টু দেবনাথ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। একবার হয় স্ট্রোক। উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান ভারতের মাদ্রাজে। সেখানে পিন্টুর ওপেন হার্ট সার্জারিসহ সকল খরচে সামনে ছিলেন বন্ধু প্রবীর ঘোষ। অথচ সেই বন্ধুই কাল হয়ে দাঁড়াল। এর আগে তার সন্ধান দাবিতে ২১ দিন ধরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসায়ী, নিহতের স্বজন, বিভিন্ন সংগঠন ও পরিবারের লোকজন মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আসছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ