Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি এখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

 ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তার মন্ত্রিসভার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। আগামী বছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখার যে সিদ্ধান্ত থেরেসা মে নিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়ে বরিস জনসন সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন। এদিনই প্রধানমন্ত্রী মে’র দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ব্রিটিশ রানি এলিজাবেথ নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নিয়োগে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মে’র নীতির প্রতি অনুগত হিসেবে পরিচিত নয়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেছিলেন। ব্রেক্সিটের গণভোটের জের ধরে ক্যামেরন পদত্যাগ করার পর মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে হান্টকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদে বহাল রেখেছিলেন। ফলে গত সাড়ে পাঁচ বছর টানা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়ে ম্যাট হ্যানকককে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। হান্টের নিয়োগের ফলে প্রধানমন্ত্রী মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় ভারসাম্য আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হান্ট ২০১৬ সালের ব্রেক্সিট গণভোটের সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেকে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। অপর এক খবরে বলা হয়, ব্রেক্সিট ইস্যুতে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এ ইস্যুতে একে একে তিনজন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করার পর তার ভাগ্য ঝুলছে। ফলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ রাজনীতিতে শুধু ঝড় বললে ভুল হয়, বলা যায় ঘূর্ণিঝড় বইছে। যারা সরকার থেকে পদত্যাত করেছেন তারা আর কেউ নন ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন ও ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী স্টিভ বেকার। ওদিকে পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অবৈতনিক পার্লামেন্টারিয়ান সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন ক্রিস গ্রিন। তিনিও তার এ পদ থেকে সরে গেছেন। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন থেরেসা মে। তিনি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। রোববার আকস্মিক বা নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করেন ডেভিড ডেভিস। তখন বলা হয়, তাকে অনুসরণ করে আরো কয়েকজন মন্ত্রী বা এমপি পদত্যাগ করতে পারেন। এরপর পরই খবর আসে স্টিভ বেকারও পদত্যাগ করেছেন। তবে সোমবার দিনশেষে সবচেয়ে বড় আঘাতটি হানেন ওই এলোমেলো চুলের বরিস জনসন। তিনি লন্ডনের সাবেক মেয়র এবং ব্রিটেনের রাজনীতিতে এ সময়ে বেশ প্রভাবশালী নেতা। এতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ভাগ্য সরল দোলকের মতো দুলছে। যে কোনো সময় যেকোন দশায় চলে যেতে পারে তা। বরিস জনসন পদত্যাগ করার আধা ঘন্টারও একটু বেশি পরে থেরেসা মে এমপিদের মুখোমুখি হন। তাকে এমপিরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী তার পারফরমেন্সের পক্ষেই কথা বলেন। স্কাই নিউজ, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী

৩১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ