Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপির ইন্তেকাল

প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর শোক

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বর্ষীয়ান রাজনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ আর নেই। রোববার রাত পৌনে ১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার ইন্তেকালে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ক্যান্সারে ভুগছিলেন। ৭৩ বছর বয়সী মোছলেম উদ্দিন স্ত্রী ও চার মেয়ে রেখে গেছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল গ্রামে।

সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুতে গতকাল জাতীয় সংসদে আনীত শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধ সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদকে স্মরণীয় করে রাখবে। ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন মোসলেম উদ্দিন। তার রাজনীতিতে কখনো কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। মুক্তিযুদ্ধসহ সকল লড়াই-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন এবং সাহসী ভ‚মিকা রেখেছেন।

এদিকে, গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের জানাযা শেষে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ সাংবাদিকদের বলেন, এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর যে প্রান্তিক নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোসলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

বোয়ালখালী থেকে সংবাদদাতা জানান- বোয়ালখালী উপজেলা সদরের গোমদÐী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোছলেম উদ্দীন আহমেদ এমপির দ্বিতীয় নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত এ নামাজে জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে তার কফিন কধুরখীল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে আসা হয়। কফিনের সাথে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সেখানে তার স্বজন ও প্রতিবেশীরা ভিড় জমান। তার আগে ঢাকায় প্রথম দফা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে আরও এক দফা নামাজে জানাজা শেষে নগরীর গরীবুল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
মোছলে উদ্দিন আহমেদের ইন্তেকালে সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক সিটি মেয়র এম মনজুর আলম, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, বোয়ালখালী আহলা দরবারের শাহজাদা মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলামসহ বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ষাটের দশকে ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের কমার্স কলেজ শাখারসহ সভাপতি নিযুক্ত হন। ১৯৭১ সালে মোছলেম উদ্দিন আহমেদ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেন। দেশ স্বাধীনের পর তিনি যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। চট্টগ্রাম শহর যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। শহরের লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর তিনি কয়েক দফায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। গত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সম্মেলনেও তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর শোক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ