বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মুবিন হোসেন চৌধুরী। বাবা-মা দুজনেই সরকারি চাকরিজীবি। চাকরির কারণে বাবা মা দুজনেই চলে যান সকালে। স্কুলে আসা যাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই একা করতে হয় তাদের। ছোট থেকেই নিকটাত্মীয়দের হাতে বড় হতে হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট স্কুল শিক্ষিকার মায়ের বদলির আবেদন জানিয়েছে ছোট্ট শিশু মুবিন। গত বছরের ৬ নভেম্বর চিঠিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইমেইল ও কুরিয়ার যোগে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনো সাঁড়া মেলেনি। শিশু মুবিন হোসেন চৌধুরীর মা শাহনাজ আক্তার তফাদার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কায়স্থগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের শামীম হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে সিলেট নগরীর শেখঘাট এলাকায় বসবাস করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠানো চিঠিতে মুবিন উল্লেখ করেছে যে-সে ছাড়াও তার ছোট একটি ভাই রয়েছে। সে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। বাবা মা দুজনেই সরকারি চাকরি করেন। বাবা শামীম হোসেন চৌধুরী সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী ও মা শাহনাজ আক্তার সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কায়স্থগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। প্রতিদিন ভোরে মা বাসার সবকিছু গুছিয়ে স্কুলে চলে যান। আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেন। এরপর বাবাও চলে যান অফিসে। সারাদিন তারা দুই ভাইকে বাসায় একা থাকতে হয় এমনকি মায়ের কাছে কোনো কিছু কেনার আবদার করলে তিনি বলেন স্কুলে আসা যাওয়া করতে অনেক টাকা লাগে কোনো কিছু কেনারমত হাতে টাকা নেই। মুবিন চিঠিতে আরো উল্লেখ করেছে-তাদের দাদা-দাদি কেউ নেই। দুই ভাইকে একা একা স্কুলে আসা যাওয়া করতে হয়। মা সারাদিন স্কুল শেষ করে এসে তাদের পড়াশুনা করাতেও পারেন না। বাবা হার্টের রোগী থাকায় সেদিকেও মাকে বেশি সময় দিতে হয়। যার কারণে তারা দুই ভাই সব সময় নিজেদের অসহায় মনে করে।
মুবিন উল্লেখ করেন- বাবার মতো মাও যদি শহরে চাকরি করতেন তাহলে তারা মা-বাবাকে কাছে পেতো। মায়ের আদর যতœ পেতো। দুশ্চিন্তাও কম হাতে তাদের কষ্ট দেখে মা বদলীর জন্য কাগজপত্র বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার জমা দিয়েছেন অনেক পূর্ব হতে কিন্তু বদলির কোনো সুযোগ হয়নি। মাঝে মধ্যে এ নিয়ে বাবা-মা ঝগড়া করেন। মা লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেন। মুবিন চিঠিতে আবেগজড়িত ভাষায় আরো উল্লেখ করেছে, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি, ভলোবাসি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আরও ভালোবাসি ও স্মরণ করছি আমারই মতো ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি আপনি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন। সেজন্য চিঠির সাথে আমার মায়ের সকল কাগজপত্র পাঠালাম। যদি আপনার একটু মায়া হয় তাহলে এই শিশুটির আবদার রাখবেন। বিজ্ঞপ্তি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।