বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
# বিশ্বকাপের ইতিহাসে পঞ্চমবারের মতো অল-ইউরোপিয়ান সেমি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ১৯৩৪, ১৯৬৬, ১৯৮২, ২০০৬ সালের পর আবারো সেমিতে মুখোমুখি হচ্ছে ইউরোপের চারটি দেশ।
# রাশিয়ার সেমি ফাইনালে ওঠা এই চারটি দেশ এর আগেও শেষ চারে খেলেছে। ১৯৮৬ সালে বেলজিয়াম, ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ড, ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া আর ২০০৬ সালে সেমিতে খেলেছিল ফ্রান্স।
# প্রথম সেমিতে খেলবে ফ্রান্স-বেলজিয়াম। এর আগে দুই দলের ৭৩ দেখায় জয়ের পাল্লা ভারী বেলজিয়ামের দিকে। ৩০ বার জিতেছে বেলজিয়ানরা আর ২৪ বার জিতেছে ফরাসিরা। বাকি ১৯টি ম্যাচ ড্র হয়। তবে, বিশ্ব মঞ্চের দেখায় জয়ের পাল্লা শতভাগ হেলে আছে ফ্রান্সের দিকে। এর আগে ১৯৩৮ এবং ১৯৮৬ সালে দুইবারের দেখায় দুইবারই জিতেছিল ফ্রান্স।
# বেলজিয়ামের স্প্যানিশ কোচ রবার্তো মার্টিনেজ এই বিশ্বকাপে একমাত্র বিদেশি কোচ যিনি তার দলকে সেমিতে এনেছেন। এর আগে ব্রাজিলিয়ান কোচ লুইস ফেলিপ স্কলারি পর্তুগালকে ২০০৬ সালে শেষ চারে নিয়েছিলেন। এদিকে, ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম দেশটির সর্বোচ্চ ম্যাচের দায়িত্ব পালন করেছেন। বেলজিয়ামের বিপক্ষেই তার ফরাসি শিষ্যরা নেমেছে ১১ ম্যাচে, যা ফ্রান্সের কোচ হিসেবেও সর্বোচ্চ।
# বেলজিয়ামই হলো একমাত্র দেশ যারা এই বিশ্বকাপে এখনও কোনো ম্যাচে হারেনি। গ্রæপপর্বে পানামাকে ৩-০, তিউনিসিয়াকে ৫-২ আর ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারানোর পর শেষ ষোলোতে বেলজিয়াম ৩-২ গোলে হারায় জাপানকে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারায় বেলজিয়াম। ৫ ম্যাচ খেলে এই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ১৪ গোলও তাদের দখলে।
# ক্রোয়েশিয়া একমাত্র দল যারা এই বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে দুটি ম্যাচ খেলে দুবারই টাইব্রেকারে জিতেছে। শেষ ষোলোতে ডেনমার্ককে এবং কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক রাশিয়াকে টাইব্রেকারে হারায় ক্রোয়েটরা। এর আগে এমনটি হয়েছে একবারই, ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দুবার টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত করেছিল। এদিকে, আগের তিনবার টাইব্রেকারে হারলেও শেষ ষোলোতে এবার টাইব্রেক বাধা টপকে যায় ইংল্যান্ড। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে কলম্বিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা।
# ইংল্যান্ড এর আগে যে তিনবার সেমি ফাইনালে খেলেছে, প্রতিবারই ইউরোপের মাটিতে। ১৯৬৬ সালে যেবার তারা শিরোপা জেতে সেবার খেলেছিল নিজেদের মাটিতে। এরপর ১৯৯০ সালে সেমিতে খেলেছে ইতালির মাটিতে আর এবার রাশিয়ার মাটিতে।
# সর্বোচ্চ গোলের দৌড়ে এবার এগিয়ে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইন। সর্বোচ্চ ৬ গোল করেছেন তিনি। এছাড়া, সেমিতে ওঠা বেলজিয়ামের রোমেলু লুকাকু করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার গোল। ফ্রান্সের অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান আর কিলিয়ান এমবাপে করেছেন তিনটি করে গোল। ক্রোয়েশিয়ার লুকা মড্রিচের নামের পাশে আছে দুটি গোল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।