বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ব্রাজিলের বিপক্ষে দারুণ জয়ের পর কেভিন ডি ব্রুইনের চোখে এখন ফাইনালের স্বপ্ন। লক্ষ্য প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের।
শুক্রবার কাজান অ্যারেনায় কোয়ার্টার-ফাইনালে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারায় দারুণ ছন্দে ছুটে চলা বেলজিয়াম। ৩২ বছর পর আবার ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চের শেষ চারে উঠলো দেশটি। অসাধারণ এই জয়ের পর বিবিসিকে ডি ব্রুইন বলেন, ‘ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়। তারা চমৎকার একটি দল। কিন্তু দল হিসেবে আমাদের যে শক্তি আছে তা আজ দেখা গেছে। প্রথমার্ধে আমরা দুর্দান্ত ছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধ খুব কঠিন ছিল। মাঝমাঠে তাদের অনেক খেলোয়াড় ছিল। শেষ ১৫ মিনিট ছিল মানের পরীক্ষা। বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি আমরা কি করতে পারি।’
ম্যাচের ৩১তম মিনিটে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে রোমেলু লুকাকুর বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে বাঁ পোস্ট ঘেঁষে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডি ব্রুইন। নিজের গোলটি প্রসঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমার গোলটির জন্য আমি একটু অপেক্ষা করছিলাম। আমি জায়গাটা দেখি, শট নেওয়ার জন্য যা দারুণ ছিল। নিচ থেকে দৌড়ে ওপরে উঠে আমরা ওদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করছিলাম, যা ছিল চমৎকার। আপনাকে একজন খেলোয়াড় ও একটা দল হিসেবে উন্নতি করতে হবে। অবশ্যই এটা কঠিন, একটা টুর্নামেন্টে এক দল হারবে এবং ছিটকে যাবে। তবে আমরা সবকিছুর চেষ্টা করেছি। আমরা এখানে চেষ্টা করতে ও বিশ্বকাপ জিততে এসেছি। অবশ্যই সবাই চেষ্টা করে। সবাই যে ম্যাচে খেলতে চায় তা থেকে আমরা আর একটা জয় দূরে।’
পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন থিবো কর্তোয়া। দারুণ কিছু সেভ করে দলকে সেমি-ফাইনালে তুলতে রেখেছেন বড় অবদান।
ম্যাচ শেষে চেলসির এই গোলরক্ষক বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। দলটি সব ম্যাচ জিততে চায়। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে) সবাই বলেছিল হারলে ভালো; কিন্তু আমরা ম্যাচটা জিতেছিলাম। আমাদের নিজেদের দলের উপর আস্থা আছে। এ বছর আমাকে অন্যায্যভাবে অনেক সমালোচনা করা হয়েছে। আজ আমি আবারও প্রমাণ করেছি, আমি কে এবং কেন আমি এখানে।’
যোগ করা সময়ে ডি-বক্স থেকে নেইমারের বাঁকানো শট দুর্দান্ত সেভে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন কর্তোয়া। ওই সেভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি জানি, নেইমার ওভাবে বাঁকানো শট নিতে পছন্দ করে। আমি প্রস্তুত ছিলাম এবং ভালো একটি সেভ করি। আমাদের কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল দারুণ। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এটা আমাদের দিন। বিশ্বকাপ খেলাটা শৈশবের স্বপ্ন।’
প্রথমবারের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে আগামী মঙ্গলবার ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে বেলজিয়ামের এই ‘সোনালী প্রজন্ম’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।