মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নীতি-নির্ধারণে ভূমিকা পালনকারী সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলেন ভারতীয়-অমেরিকান সীমা নন্দ। ভারতীয় তথা এশিয়ান-আমেরিকান হিসেবে এই প্রথম সীমা নন্দকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সিইও নিয়োগ করা হলো। চলতি মাসেই তিনি এ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হবেন বলে ডিএনসি (ডেমক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটি)’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সীমা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠন ‘দ্য লিডারশিপ কনফারেন্স অন সিভিল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’র চীফ অপারেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ডিএনসির সিইও হিসেবে সীমাকে এই সংগঠনের সকল কর্মকাÐের তদারকি ছাড়াও আমেরিকার কল্যাণ ও উন্নয়নে পার্টির ভূমিকা ঢেলে সাজাতে হবে। সামনের নির্বাচনে পার্টির বিজয় নিশ্চিত কল্পে কী ধরনের কর্মসূচি নেয়া উচিত-সে দিক-নির্দেশনা দেবেন। সীমা এর আগে শ্রমমন্ত্রী টম পেরেজের চীফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরও আগে একই মন্ত্রীর ডেপুটি চীফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালনকালে ইমিগ্রেশন, ওয়ার্কফোর্স উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমান সিইও ম্যারি বেথ ক্যাহিল বিদায় নেবেন শিগগিরই। এজন্যে গত ৫ মাস ধরেই তিনি একজন যোগ্য সিইও খুঁজছিলেন। সীমার নিয়োগ-সংবাদকে অভিনন্দন জানিয়ে ডিএনসি চেয়ার টম পেরেজ (সাবেক শ্রম মন্ত্রী) বলেছেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, মেধাবী এবং দক্ষ সংগঠক সীমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক কল্যাণে সীমার আন্তরিকতার অভাব নেই। সেটি তিনি ইতিমধ্যেই প্রমাণে সক্ষম হয়েছেন বিভিন্ন স্থানে। তার তৃণমূলের অভিজ্ঞতায় ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সামনের দিনগুলোতে আরও জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হবে বলে আশা করছি। এ নিয়োগে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে সীমা নন্দ বলেন, সারাজীবনের জন্যে এ এক অপূর্ব সুযোগ, যা আমাকে সম্মানিত করেছে। এতে আমি গৌরববোধ করছি। আর এমন সময়ে আমাকে এ দায়িত্ব দেয়া হলো যখন সারা আমেরিকার মানুষেরা কষ্টে নিপতিত হয়েছে। এহেন পরিস্থিতি থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের লক্ষ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি যথাযথ দিক-নির্দেশনা প্রদানে সক্ষম হবে বলে মনে করছি। আর সে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক সমাজের স¤প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে, আমাদের নীতি-আদর্শের ওপর ভর করে এবং মূল্যবোধকে জাগ্রত রেখে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র শ্রম মন্ত্রণালয়ে যোগদানের আগে বিচার বিভাগের সিভিল রাইটস ডিভিশনে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড অ্যামপ্লয়ি রাইটস সেকশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন সীমা নন্দ। সীমা বস্টন কলেজের ল’ স্কুল এবং ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া করেছেন। তিনি ম্যাসেচুসেটস বার অ্যাসোসিয়েশনেরও মেম্বার। এনআরবি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।