পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংকট নিরসনে নতুন একটি শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তাব নিয়ে স¤প্রতি ইসরাইলসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, আঞ্চলিক নানা জটিলতার কারণে ট্রাম্পের নতুন এ শান্তি পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বদলে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তারা বলছেন, এ-প্রস্তাব বাস্তবায়নে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে সউদী আরবকে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এ-অঞ্চলের অন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে তার সিকি ভাগও দেয়া হয়নি। ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের চলমান সংকট সমাধান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে মতবিনিময় করতে, গেল মাসের শেষ সপ্তাহে ইসরাইল সহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ সফর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও হোয়াইট হাউজের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। এ সময় ফিলিস্তিনি এক গণমাধ্যমে দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে, গাজা পরিস্থিতিকে মানবেতর উল্লেখ করে কুশনার বলেন, সংকট সমাধানে খুব শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বহু প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে ইসরাইলের পাশাপাশি কাতার, মিশর, জর্ডান ও সউদী আরবও সফর করেন ট্রাম্প জামাতা। বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বৈঠক করেন সউদী যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে। তবে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মানতে নারাজ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। আলোচনায় বসতে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসকে জ্যারেড কুশনার কয়েক দফা আমন্ত্রণ জানালেও সাড়া দেননি আব্বাস। বিভিন্ন সূত্রে যতদূর জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য চূড়ান্ত চুক্তি নাম দিয়ে ট্রাম্প যে পরিকল্পনার প্রস্তাব তৈরি করছেন তাতে মূলত পশ্চিম তীর ও গাজা নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হবে। দখলীকৃত পূর্ব জেরুজালেমের জেবেল মুকাবার, ইসাউইয়া, সুয়াফাত ও আবু দিস এ চারটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনিদের কাছে ছেড়ে দিয়ে সেখানে ফিলস্তিনের রাজধানী প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিনিময়ে ইসরাইল এমন এক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধিকারে পাবে যাতে হামাস বা অন্য কোন জঙ্গী সংগঠন কখনওই পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারে। রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।