মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে হেলিকপ্টারবাহী বড় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে জাপান। বার্ষিক সমুদ্র যাত্রার মাধ্যমে কৌশলগত সামুদ্রিক অঞ্চলে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। আগামী সেপ্টেম্বরে যুদ্ধ জাহাজটি আরেকটি জাহাজের সাথে তার দুই মাসের সমুদ্রযাত্রা শুরু করবে। কাগা নামক যুদ্ধ জাহাজটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের রাজকীয় নৌবাহিনীর ব্যবহার করা জাহাজের মতোই বড়। সাংবিধানিক বিধি-নিষেধের মধ্যে রাখার জন্য এটাকে প্রতিরক্ষাম‚লক ভাবে তৈরি করা হয়েছে। জাপানের পশ্চিমাঞ্চলের কুরে ঘাঁটিতে গত বছরের মার্চ মাসে জাহাজটির উদ্বোধন করা হয়। প্রথমবার জাহাজটি সাবমেরিন বিরোধী অভিযানে অংশ নেয়। এবারের দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগর সফরের সময় জাহাজটির সঙ্গে সহকারী জাহাজ হিসেবে ‘ওসুমি’ সঙ্গে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাপানের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতি নিয়ে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই এলাকাটিতে নিজের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে জাপান। ওই অঞ্চলেই জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপ‚র্ণ বাণিজ্য পথের অবস্থান। গত বছরও দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত মহাসাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছিল তারা। জাহাজ পাঠানোর পরিকল্পনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমর্থনে জাপানে প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এটা করা হচ্ছে’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রটি আরও জানায়, ২৪৮ মিটার দৈর্ঘের ‘কাগা’ নামের যুদ্ধজাহাজটি থেকে বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার একযোগে উড্ডয়ন করতে পারে। জাহাজটি ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-প‚র্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশে থামবে। ভারত ও শ্রীলঙ্কার বন্দরেও যাত্রাবিরতি করবে জাহাজটি। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের দাবি করে থাকে চীন। তারা সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে। তবে শান্তিপ‚র্ণ উদ্দেশ্যেই এটা করা হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে চীন। এছাড়া ভারত মহাসাগরেও নৌ-বাহিনীর অভিযান জোরদার করেছে চীন। নৌ-চলাচল অবাধ রাখা নিশ্চিত করার কথা বলে দক্ষিণ চীন সাগরে নিয়মিত বিমান ও নৌ-টহল চালিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র হাওয়াইয়ে তাদের ‘প্যাসিফিক কমান্ড হেডকোয়ার্টার্সে’র নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড’ রেখেছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তর আঞ্চলিক কৌশলের ইঙ্গিত হিসেবেই তা করা হয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।