বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
কিলিয়ান এমবাপের সক্ষমতা সম্পর্কে বেশ অবগত উরুগুয়ে। না হয়ে উপায় কি, বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াইয়ে ফ্রান্সকে হারাতে হলে তো এমবাপেকেই আগে থামাতে হবে। তবে ফরাসি ফরোয়ার্ডকে থামাতে উরুগুয়ের দুর্দান্ত রক্ষণভাগের ওপর আস্থা রাখছেন লুইস সুয়ারেস ও তার সতীর্থরা।
আগামী শুক্রবার নিজনি নভগোরোদে রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল। শেষ ষোলোয় এমবাপের জোড়া গোলে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে ৪-৩ গোলে হারায় দিদিয়ের দেশমের দল। ওদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষ আটে উঠে আসে উরুগুয়ে।
চলতি আসরে উরুগুয়ে রক্ষণভাগে দারুণ দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছে। চার ম্যাচে মাত্র ১ গোল হজম করেছে গদিন-হিমেনেসরা। ওদিকে এমবাপেও আছেন দারুণ ছন্দে। ১৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এরই মধ্যে করেছেন ৩ গোল। মঙ্গলবার অনুশীলন শেষে এমবাপের প্রশংসা করে সুয়ারেস, ‘এমবাপে সম্পর্কে সবাই জানে সে আসলেই ভালো একজন খেলোয়াড়। সে কয়েক বছর আগের থিয়েরি অঁরির মতো। কিন্তু আমি মনে করি, তাকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো ভালো রক্ষণভাগ আমাদের আছে। শুধু এমবাপে নয়, পুরো ফ্রান্স দলকে আটকানোর মতো রক্ষণভাগ আছে আমাদের।’
এমবাপে ছাড়াও ফ্রান্সের আক্রমণভাগে আছেন গ্রিজমান। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে গ্রিজমানের সতীর্থ উরুগুয়ের দুই নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার দিয়েগো গদিন ও হোসে মারিয়া হিমেনেস। ক্লাব সতীর্থদের মুখোমুখি হওয়া নিয়ে কদিন আগে বলতে গিয়ে গ্রিজমান জানিয়েছিলেন তার ছোট মেয়ের ‘ধর্মপিতা’ গদিন। উরুগুয়ের প্রতি ভালোবাসার কথাও জানান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। তবে মাঠের লড়াই শুরু হলে উরুগুয়ের প্রতি এই ভালোবাসার জন্য গ্রিজমান বিন্দুমাত্র ছাড় পাবে না বলে মনে করেন সুয়ারেস, ‘সে জানে এটা বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে সবাই খেলে। আমরা জানি এটা আমাদের জন্য একটি বিশেষ ম্যাচ; তার ব্যাপারটা জানি না। সে আসলেই ভালো খেলোয়াড় এবং বাঁ পায়ে চমৎকার।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।