বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
গ্যারি লিনেকারের মাধ্যমে বিশ্বকাপ শেষবারের মতো দেখেছিল কোনো ইংলিশ ফুটবলারের জোড়া গোলের কীর্তি। সেই কীর্তি গড়েই ইংলিশদের স্মৃতিকাতর করে তুললেন হ্যারি কেন! গ্যারি থেকে হ্যারির গল্পটা ইংলিশ ফুটবলের এক বড় ইতিহাস। এর মাঝে পেরিয়ে গেলো ২৮ বছর। নব্বইয়ের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্যামেরুনের বিপক্ষে কিংবদন্তি স্ট্রাইকার লিনেকারের সেই জোড়া গোলের পর বিশ্বকাপে কোনো ইংলিশ ফুটবলারের জোড়া গোল পেতে ২৮ বছর পেরিয়ে যাবে, সেটা আর কে ভেবেছিল? লিনেকারের পর ইংল্যান্ডের জার্সিতে কত বড় বড় নাম- অ্যালান শিয়েরা, মাইকেল ওয়েন, ওয়েইন রুনি, পিটার ক্রাউচ। স্টিভেন জেরার্ড, ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডরাও পারেননি জোড়া গোল করতে। ২৪ বছর বয়সী হ্যারি কেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন টটেনহ্যামের হয়ে। ক্লাবটির হয়ে সব মিলিয়ে তার গোল ৪১। তৃতীয় স্থান নিয়ে এবারের লিগ শেষ করেছে টটেনহ্যাম। সেই কেনকে এই বিশ^কাপে ইংলিশ নেতৃত্বের ভার দেওয়ার ব্যাখ্যায় কোচ গ্যারেথ সাউথগেট বলেছিলেন, ‘হ্যারির অসাধারণ কিছু গুণ রয়েছে।’ সেই গুণটা যে কি তা আর বলে দিতে হয় না, গোল!
এবারই প্রথম ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না হ্যারি কেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও এই ভার সামলেছেন। ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র করেছিল ইংলিশরা। তাতে ইংল্যান্ডকে শেষ মুহ‚র্তে সমতায় ফেরান এই কেনই। এ নিয়ে তৃতীয়বার আর্মব্যান্ড পড়তে পারার আনন্দে উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছিলেন এই স্ট্রাইকার, ‘বিশ্বকাপের জন্যে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। একেবারে ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো দল না তারা। অভিজ্ঞতা অর্জনে আমার আর তর সইছে না। ছেলেদের নেতৃত্ব দিতে পারাটা বিশেষ কিছু।’
সেই নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ২৮ বছর পর এসে করণে জোড়া গোলের কীর্তি। টটেনহামের এই স্ট্রাইকার নিজের সামর্থ্যরে সেই বিশেষ কিছুর প্রমাণ রাখলেন ২০১৮ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। বুঝিয়ে দিলেন, কেন তাকে এ মুহ‚র্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার বলা হচ্ছে। সুযোগসন্ধানী গোল দিয়ে শুরু করেছিলেন কেন। তিউনিসিয়াকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে সুন্দর শুরুটাই শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল ইংলিশদের। আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু গোলটাই পাচ্ছিল না তারা। ফরোয়ার্ডরা যখন মাথা কুটে মরছেন, ঠিক তখনই ম্যাচের যোগ করা সময়ে আবার কেনের গোল। ইনজুরি টাইমে দারুণ এক হেড থেকে গোল করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেন। শেষ সময়ের কর্ণারে তাকে আনমার্ক রেখে তিউনিশিয়া ভালো মতোই টের পেয়েছে তা। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে এবং প্রথমার্ধের শুরুতে হ্যারি কেন গোল করে দলকে ২-১ গোলের জয় এনে দিয়েছেন।
সেই যে শুরু, তা চলছে শেষ ষোলতেও। গতকাল শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে পেনাল্টি থেকে করা তার গোলেই প্রথমে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৫৭তম মিনিটে ওই স্পটকিক থেকে ঠাÐা মাথায় টুর্নামেন্ট নিজের ষষ্ঠ গোলটি করেন এখন পর্যন্ত রাশিয়া বিশ^কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা কেন।
এবার দেখার পালা; কতদূর আলো ছড়ায় হ্যারি কেন, তার আলোয় কতদূর যায় ইংল্যান্ড!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।