Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবনায় মাদকাসক্ত ছেলে মা, ছোট ভাই ও খালাকে কুপিয়ে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, পাবনা ও বেড়া উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৮, ১০:৩৬ এএম | আপডেট : ৪:৫৭ পিএম, ৪ জুলাই, ২০১৮


পাবনার বেড়া উপজেলায় পুত্র বিরুদ্ধে তার মা, ছোট ভাই ও আপন খালাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের সোনাপদ্মা নতুন চারা বটতলা নামক গ্রামে । বেড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশিষ বিন হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন : ঐ গ্রামের মিঠু হোসেনের স্ত্রী বুলি খাতুন (৪০), তার ছোট পুত্র তুষার হোসেন (১০) ও বুলি খাতুনের আপন বোন নছিমন খাতুন (৪৫)। হত্যাকারী বড় পুত্র পাষণ্ড তুহিন হোসেন (২২) ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। নিহতদের বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে সমবেদনা জানাচ্ছেন।
পরিবারের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আশিষ বিন হাসান জানান, বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে ঐ গ্রামের মিঠু হোসেনের বড় পুত্র তুহিন হোসেন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মা বুলি খাতুন (৪০), ছোট ভাই তুষার হোসেন (১০) ও আপন খালা নছিমন খাতুন (৪৫) কে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। কি কারণে মা ,ভাই ও খালাকে হত্যা করেছে তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ সেটি নিশ্চিত হতে পারেনি।
তুহিন হোসেনের স্ত্রী রুনা খাতুন পুলিশকে জানিয়েছেন, ফজরের আযানের কিছু আগে ঘুম থেকে জেগে তিনি তার শাশুড়ি গোঙানির শব্দ শুনতে পান। এ সময় তার পাশে স্বামীকে দেখতে পাননি । দরজা খুলে বাইরে গিয়ে দেখেন বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় তার শাশুড়ি, ছোট দেবর ও খালা শাশুড়ি লাশ পড়ে আছে। পাশে ধারালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে তার স্বামী। ওই সময় স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তুহিন বলে, ‘সব কয়টাকে শেষ করে দিলাম।’ এ দৃশ্য দেখে দৌঁড়ে পাশের বাড়িতে পালিয়ে যান স্ত্রী রুনা।
পরে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে থানায় খবর দিলে সকালে পুলিশ বাড়ির উঠান থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে হত্যাকারী তুহিন পলাতক রয়েছে। তবে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন পুলিশকে জানিয়েছেন, দুই মাস আগে তার স্বামী টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। তারপর থেকে তুহিনের মেজাজ খিটখিটে ছিল। তুচ্ছ ঘটনায় মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ করত। অপর এক সূত্রে জানা গেছে, তুহীন ইয়াবায় আসক্ত ছিল। মাকে জমি বিক্রি করে টাকার দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির ,পিপিএম সাংবাদিকের জানিয়েছেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণ খুব শীঘ্রই উদঘাটন এবং দোষীকে বিচারের আওতায় আনা হবে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুপিয়ে হত্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ