পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আমি ঠিক বুঝতে পারছি না যে গত ৩০ জুন শনিবার থেকে বাংলাদেশে কী ঘটছে। এতদিন ধরে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলা এবং তার কারাদন্ড নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। পত্রপত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনেক স্পেস দখল করে রেখেছিল বেগম জিয়া সম্পর্কিত নিউজ। গত শনিবার ৩০ জুন সমগ্র বাংলাদেশ যখন রাত ৮টার আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের নক আউট ম্যাচ দেখার জন্য অধীর প্রতিক্ষায় ছিল তখন দুপুর বেলা থেকে ঘটে গেল একটি সাংঘাতিক ঘটনা। দেখা যাচ্ছে, সেই ঘটনার রেশ এখন অর্থাৎ রবিবার ১ জুলাই, যখন এই কলামটি লিখছি, তখনও শেষ হয়নি। দেখা যাচ্ছে, কোটা আন্দোলনকারী ছাত্রনেতাদের ওপর হামলা, নির্যাতন এবং নিপীড়ন চলছে তো চলছেই। শনিবারে ছিল ছাত্রলীগের হামলা এবং প্রহার। কিন্তু রবিবার দেখা যাচ্ছে, ছাত্রলীগের হামলা ছড়িয়ে গেছে ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গের প্রধান শহর রাজশাহীতে। আর ঢাকায় আন্দোলনের ৩ জন যুগ্ম আহŸায়ককে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। রাজশাহীর খবরে প্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের সামনে রোববার সকালে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয়া কালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগের অতর্কিত হামলায় আন্দোলনকারীদের ছয়জন আহত হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, সকাল সাড়ে নয়টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। এসময় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়। এরপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরিবহন মার্কেট গিয়ে শোডাউন করে পুনরায় গ্রন্থাগারের সামনে এসে অবস্থান নেয়। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর তারা ক্যাম্পাসে বাইক নিয়ে শোডাউন করে।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেছে, ‘যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’ কোটা সংস্কার আন্দোলন রাবি শাখার যুগ্ম-আহŸায়ক মোর্শেদ আলম বলেছে, আমরা প্রায় দেড়শ’ জন শিক্ষার্থী ব্যানার নিয়ে মানববন্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া দেয়া হয়। এসময় আমাদের পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারীকে মারধর করে তারা।
রাজশাহীতে যখন ঢাকার কায়দায় ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রদের ওপর চড়াও হয়েছে তখন ডিবি পুলিশ একটি নতুন খেলায় নেমেছে। গত রবিবার মানব জমিনের অন লাইন সংস্করণে প্রকাশ, কোটা আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক রাশেদ খানসহ তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি তুলে নিয়ে গেছে। অন্য দুজন হলেন মাহফুজ খান ও সুমন কবীর। তারা পরিষদের যুগ্ম আহŸায়ক। রোববার দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে তাদের তুলে নিয়ে যায় ডিবি। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহŸায়ক হাসান আল মামুন পত্র পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুই
ছাত্রলীগের সর্বশেষ হামলার সূত্রপাত ঘটেঠে ৩০ জুন শনিবার বেলা ১১টা থেকে। ঐ দিন ছাত্রলীগ তাদের মাস্তান বাহিনী নিয়ে কী করেছে, সেটি কয়েকটি পত্রিকার প্রথম পাতায় চোখ বুলালেই বোঝা যাবে। প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠার প্রধান সংবাদের শিরোনাম, ‘খুঁজে খুঁজে মারল ছাত্রলীগ/ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর প্রথমে গণ হামলা, পরে খুঁজে খুঁজে বেধড়ক মারধর।’ ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম, ‘15 injured as BCL activists swoop on protesters / Anti- quota protesters announce demos at univs, colleges to day, nationwide protests tomorrow। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শিরোনাম, ‘Quota Movement/ BCL swoops on reformists’। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের শিরোনাম, ‘আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা।’ দৈনিক যুগান্তরের শিরোনাম, ‘কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা/ অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা।’ দৈনিক ইনকিলাবের শিরোনাম , ‘কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় হামলা/ আহত ৬, ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচি।’
প্রিয় পাঠক, দেশের প্রধান প্রায় সবগুলি পত্রপত্রিকার শিরোনাম দেখলেন। ছাত্রলীগ অবশ্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছে। ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় উভয় ক্ষেত্রেই হামলার দায়িত্ব নিতে তারা অস্বীকার করেছে। এব্যাপারে তাদের বক্তব্য দেখুন, রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানায়, ‘যারা ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’ ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করা বলতে ছাত্রলীগ কী বোঝাতে চায়? ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় তো কোটা আন্দোলনকারীরা সেন্ট্রাল পাবলিক লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিল। সেজন্য তাদের ৭/৮ জন নেতা সেখানে জড়ো হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলন করলেও কি ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করা হয়? রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীরা তথা সাধারণ ছাত্র সমাজ মানববন্ধন করতে চেয়েছিল। এখন কি তাহেল মানব বন্ধনেও ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল হয়ে যায়? যারা, তাদের ভাষায়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখে না তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। এটা কী কথা? এটি কি কোনো গণতন্ত্রের কথা? সমস্ত ছাত্র বা সমস্ত জনগণের যে প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা থাকতেই হবে, তার কি কোনো মুচলেকা সাধারণ ছাত্র সমাজ বা জনগণ দিয়েছে? তাহলে আর সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা লেখা আছে কেন? বললেই হয় যে দেশে একটি দল থাকবে এবং একজন নেতা থাকবেন। তার ওপর আস্থা থাকতেই হবে। না থাকলে সেটি দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত বলে পরিগণিত হবে?
একটি বিষয় কিছুতেই আমার মাথায় ঢুকছে না। সেটি হলো, আন্দোলনকারীরা যখন কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করে তখন তো তাদের প্রত্যেকের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একই ছবি শোভা পাচ্ছিল। তার অর্থ হলো, একই সূত্র থেকে বঙ্গবন্ধুর একই ছবির হাজার হাজার বা লাখ লাখ কপি বানিয়ে সেটি লক্ষ লক্ষ ছাত্রের মাঝে বিলি করা হয়েছিল। যারা ছিল আন্দোলনের ভ্যানগার্ড তাদের হাতে শোভা পাচ্ছিল বাংলাদেশের বিশাল পতাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পার্লামেন্টে ঘোষণা দেন যে, অবিলম্বে সমস্ত কোটা বাতিল করা হলো, তখন কোটা আন্দোলনের এই নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি হয়ে ‘গড়ঃযবৎ ড়ভ ঊফঁপধঃরড়হ’ বা শিক্ষার মাতা উপাধিতে ভূষিত করে। আজ আমরা বুঝতে পারছি না যে, সেই ছাত্র নেতাদের সাথে সরকারের সম্পর্ক খারাপ হলো কেন? তখন তো অনেক পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছিল যে, সারা বাংলাদেশে এই আন্দোলন যারা করছে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই ছাত্রলীগের ছেলে-পেলে। তাই যদি হয় তাহলে আজ, সেই সব ছাত্রনেতাকে সেই ছাত্রলীগের ছেলেরাই পিটিয়ে তক্তা বানাচ্ছে কেন? আসলে ভেতরের ব্যাপারটি কী?
তিন
ভেতরের ব্যাপার যাই থাক না কেন, আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত পরিষ্কার। আমি ব্যক্তিগতভাবে গণতন্ত্রে গভীরভাবে বিশ^াসী। পাকিস্তান আমলে নিখিল পাকিস্তানভিত্তিক রাজনীতি যারা করতেন তাদের মধ্যে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর রাজনীতি আমার পছন্দের ছিল। দৈনিক ইত্তেফাকের মালিক এবং সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সোহরাওয়ার্দীকে অনেকবার ‘গণতন্ত্রের মানস পুত্র’ আখ্যা দিয়েছেন। সোহরাওয়ার্দীর গণতন্ত্র, যেটা আমি পাকিস্তান আমলে দেখেছি, সেটিতে আমি বিশ^াস করি। সেটি হলো, তোমার কথা তুমি বলবে, আমার কথা আমি বলবো। জনগণ যার কথা পছন্দ করবে তিনিই জনগণের নেতা হবেন এবং জনগণের ভোটে তিনি এবং তার দল ক্ষমতায় যাবে। তাহলে এখানে মূল পয়েন্ট হলো এই যে, যে নেতা বা যে দল যে আদর্শে বিশ^াস করে সেই আদর্শ বা কর্মসূচিকে তারা যাতে জনগণের সামনে পেশ করতে পারে সেই সুযোগ তাদেরকে দিতে হবে। দেশে দুই চারটি দলও থাকতে পারে আবার ৩০/৪০টি দলও থাকতে পারে। প্রত্যেকই যেন জনগণের কাছে গিয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করতে পারে সেই সুযোগ তাদের দিতে হবে। এবং চার বছর মেয়াদী হোক বা ৫ বছর মেয়াদী হোক, নিয়মিত নির্বাচন হতে হবে। যদি নিয়মিত নির্বাচন হয় তাহলে ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪/৫টির মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। খুচরা দলগুলো আপনা আপনিই ঝরে পড়বে।
পাকিস্তান কেন ভেঙে গেল সে ব্যাপারে অনেক রকম ব্যাখ্যা আছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য ছিল, রাজনৈতিক বৈষম্য ছিল, চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে এবং সামরিক বাহিনীতে পূর্ব বাংলার বাঙালিদের ন্যায্য হিস্যা ছিল না ইত্যাদি সবই সত্য। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত মতে, পাকিস্তান ভাঙার প্রধান কারণ হলো নিয়মিত নির্বাচন না হওয়া, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে বছরের পর বছর সামরিক শাসন জারি রাখা। যদি নিয়মিত নির্বাচন হতো এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ক্ষমতায় যেতে পারতো এবং তাদের কর্মসূচি মতো দেশ শাসন করতে পারতো তাহলে পাকিস্তান ভাঙতো না। ২৪ বছরে যদি সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বারবার গ্রেফতার না হয়ে জনগণের কাছে যেতে পারতেন এবং জনগণের রায় অনুযায়ী তারা যদি কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করতে পারতেন তাহলে আর যাই হোক ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভাঙতো না। আমি আরো সুনির্দিষ্ট করে বলতে চাই যে, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র পূর্ব পাকিস্তানে নয় সারা পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়েছিলেন। জনগণের রায় মোতাবেক পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো যদি শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় বাধা সৃষ্টি না করতেন তাহলে সেই সময় পাকিস্তান ভাঙতো বলে আমার মনে হয় না। অবশ্য পরে কী হতো সেটা কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
লেখার এই পর্যায়ে রবিবার আমি পত্রিকাগুলির অন লাইন সংস্করণ চেক করি। দেখলাম কোটা আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা রাশেদকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে এই লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই আন্দোলনের জন্য গঠিত কমিটির তিন জন যুগ্ম আহবায়ককে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নেয়। এখন দেখা যাচ্ছে এই ৩ জনের মধ্যে রাশেদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অপর দুই জনের বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয় নাই।
গত শনিবার এবং রবিবার সাধারণ মানুষকে একটি কথা বলতে শোনা গেল। তারা বলছে যে, আন্দোলনকারীরা কী বলতে চায়, সেটি তাদেরকে বলবার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ে মানববন্ধন করতে দিলে সরকারের কিবা এমন ক্ষতি হতো। ঢাকায় তাদেরকে প্রেস কনফারেন্স করতে দিলে কার বা কী ক্ষতি হতো। কিন্তু তারা তো মানুষের কাছে তাদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগই পেল না। এটিতো গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নয়। গণতন্ত্রের নাম করে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, গণতন্ত্রের নাম করেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই গণতান্ত্রিক অধিকার যদি খর্ব হয়ে যায় তাহেল রাষ্ট্রের রাজনৈতিক আদর্শ কী থাকলো?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।