পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ায় এতদিন মার্কিন সহায়তা পেয়ে আসা বিদ্রোহীদের নিজেদের পথ নিজেদেরই দেখতে বলল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের মার্কিন সামরিক বাহিনীর সহায়তার আশা ত্যাগ করতে বলেছে ওয়াশিংটন। রোববার প্রথমবারের মতো জর্ডান ও ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির সীমান্ত অঞ্চলে রাশিয়ার বিমান হামলার পর বিদ্রোহীদের এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আসাদবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির প্রধানের কাছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ বলেছে, ‘আমাদের সামরিক হস্তক্ষেপের প্রত্যাশার ওপর ভিত্তি করে আপনাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে না।’ সিরিয়ায় আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সাত বছর ধরে অস্ত্র ও সমর্থন জুগিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বিদ্রোহীদের সহায়তা প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছর সিরিয়ার দক্ষিণে ‘যুদ্ধবিরতি অঞ্চল’ নির্ধারণে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ এরপরও ওই এলাকায় সিরিয়া সরকার ও রাশিয়া বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। শুক্রবার নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অঞ্চলের চুক্তির গুরুতর লঙ্ঘন এবং এর বিরুদ্ধে কঠিন ও যথার্থ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হ্যালির এই বক্তব্যে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল।
সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।