পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত পূর্ব দেরায় সরকারি বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে দিন দিন ওই এলাকা ছেড়ে বসতবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির ফলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। এ পরিস্থিতি রোধে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইরানকে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়ার আহŸান জানিয়েছে তুরস্ক। এদিকে নতুন করে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত আরও বেশকিছু এলাকা নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে আসাদ বাহিনী। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাটি থেকে সরকারি বাহিনীর তীব্র অভিযানে গেলো দু’দিনে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। যা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি। চলমান এ পরিস্থিতির ফলে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। এছাড়াও এ অবস্থা যুদ্ধ বিরতি এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের হতাহতের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান জায়েদ-রাদ-আল হোসাইন। তার পক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল। অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ার সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের আরো কিছু শহর দখল করতে সক্ষম হয়েছে। তীব্র আক্রমণ ও বিমান হামলার পর বিদ্রোহীরা সরকারের মিত্র রাশিয়ার মাধ্যমে শান্তিচুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী প্রবেশের পর দেরা শহরের উত্তর-পশ্চিমে দায়েল শহর থেকে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স¤প্রচার শুরু করেছে। একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক জানিয়েছে, আরো পূর্ব দিকের কিছু শহরও সরকারি বাহিনী দখল নিয়েছে। সেনাবাহিনী এরই মধ্যে দুই সপ্তাহের কম সময়েই দেরা প্রদেশের বিদ্রোহী অধ্যুষিত পূর্বাঞ্চল দখল করেছে এবং আরো কিছু শহরের বিদ্রোহীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে ইচ্ছুক। শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়েছে, আল-ঘারিয়া আল-শারকিয়া শহর সরকারের সঙ্গে ‘রিকনসিলিয়েশন’ চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উড়তে এবং নাগরিকদের বাশারের বাহিনীর সমর্থনে সেøাগান দিতে দেখা গেছে। বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের গতকাল রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুরো দেরা প্রদেশে সিরিয়া রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার কথা। অবশ্য একই সময়ে বিমান হামলা অব্যাহত ছিল বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এক অভিযোগে জাতিসংঘ জানায়, এরই মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে। এতে মানবিক বিপর্যয়ের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা মুখপাত্র লিজ থ্রোসেল বলেন, আমরা আবারও পূর্ব ঘৌতার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। রয়টার্স, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।