বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
আগের ম্যাচে বিদায় নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সমর্থকদের মনে তাই ভীতিটা ছিল। একই রাতে পর্তুগালকেও বিদায় নিতে হবে না তো! শেষ পর্যন্ত এই ভীতিটাই সত্য হলো। ‘ক্ল্যাসিক’ এডিনসন কাভানির জোড়া গোলে মেসির পথেই হাঁটতে হলো রোনালদোকে।
গতকাল রাতে শেষ আটের টিকিট পেতে একদিকে রোনালদোর পর্তুগাল, অন্যদিকে সুয়ারেজ-কাভানির উরুগুয়ে। চলতি বছর প্রথম দল হিসেবে উরুগুয়ের জালে বল পাঠাতে পারল পর্তুগাল। কোয়ার্টার-ফাইনালে যেতে এটুকু যথেষ্ট ছিল না। কাভানির দুই অর্ধের দুই গোলে ইউরো চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে শেষ আটের হিসেবটা মিলিয়ে নিল অস্কার তাবারেজের শিষ্যরা।
সোচির ফিশৎ স্টেডিয়ামে দারুণ দলীয় বোঝাপড়ায় অষ্টম মিনিটে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। মাঝ মাঠে বল পেয়ে কিছুটা এগিয়ে মাঠের অন্য প্রান্তে লুইস সুয়ারেসকে পাঠান এডিনসন কাভানি। বাঁ দিক থেকে আসা সতীর্থের দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে নিজেই হেড করে বল জালে পাঠান পিএসজির এই ফরোয়ার্ড।
রোনালদো অবশ্য সেভাবে সুযোগ পাননি, একবার শট নিয়েছিলেন। সেটা ঠেকিয়ে দিয়েছেন উরগিুইয়ান গোলরক্ষক ফের্নান্দো মুসলেরা। তবে সেই ফিরতি কর্নার থেকে হোসে ফন্ট সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন। ২২তম মিনিটে উরুগুয়ের হয়ে পর্তুগালের পরীক্ষা নিয়েছিলেন সুয়ারেজ, তবে বার্সা তারকার নিচু ফ্রি-কিক বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক লুইস প্যাট্রিসিও।
প্রথমার্ধে গোলের আর তেমন কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি পর্তুগাল। রোনালদোকে ডি বক্সে বল পেতে দেননি দিয়েগো গদিন, হোসে মারিয়া হিমেনেসরা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দুই ডিফেন্ডার অকার্যকর করে রাখেন পর্তুগিজ অধিনায়ককে। জমাট রক্ষণ ভেঙে মুসলেরাকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
চাপ অব্যহত রাখার ফল অবশেষে পায় পর্তুগাল। ৫৫তম মিনিটে ছোট করে নেওয়া কর্নার থেকে বল পেয়ে চমৎকার ক্রস করেন রাফায়েল গেরেইরো। দারুণ হেডে বাকি কাজটি সারেন অরক্ষিত পেপে। এবারের আসর তো বটেই চলতি বছরে প্রথমবারের মতো উরুগুয়ের জালে গেল বল।
খানিক আগের নায়ক বেসিকতাস ডিফেন্ডার পেপে খলনায়ক হয়ে যান ৬২তম মিনিটে। তার হেড থেকে বল পেয়ে রদ্রিগো বেন্তানকুর বাড়ান কাভানিকে। পিএজসি ফরোয়ার্ড ডি-বক্সে ঢুকেই ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন। কিছু পরে (৭০তম মিনিটে) গেরেইরোর চিপ এগিয়ে এসে ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান উরুগুয়ে গোলরক্ষক মুসলেরা। সুযোগ এসে যায় বের্নার্দো সিলভার সামনে। কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার অনেক ওপর দিয়ে মেরে দলকে হতাশ করেন। বাকি সময় আর কোন গোল না হলে ম্যাচ শেষ হয় রোনালদোদের হতাশায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।