Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্পেনের ‘ফাইনাল’ আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১০:৫৩ পিএম, ৩০ জুন, ২০১৮

গ্রæপ পর্বের চার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর অপেক্ষায় মস্কোর লুঝনিকি। এই মাঠেই একে একে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালের মহারণও। এর আগে রাশিয়ার সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও স্বাগতিক রাশিয়ার মধ্যকার শেষ ষোলর লড়াই।
২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আসর শুরু করেছিল অন্যতম ফেভারিট হিসেবে। ‘বি’ গ্রæপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েই নক-আউট পর্বে ওঠে ফার্নান্ডো হিয়েরোর দল, আন্তর্জাতিক ম্যাচে যারা টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত। যদিও আসরে নিজেদের এখনো সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি তারা। গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচে পর্তুগালের সঙ্গে ড্র করার পর ইরানের বিপক্ষে ভাগ্যপ্রসুত কষ্টের জয়। এরপর শেষ ম্যাচে ভিএআর ও অফসাইডের বিতর্কময় ম্যাচে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ মুহূর্তের গোলে মরোক্কোর সঙ্গে ড্র। এই ছিল ইনিয়েস্তা-রামোস-পিকেদের গ্রæপ পর্বের পরফর্ম্যান্স।
কাগজে-কলমে হয়ত স্পেন ও রাশিয়ার মধ্যে ব্যবধান অনেক। কিন্তু ঘরের মাঠে স্বাগতিক দর্শকদের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে স্প্যানিশদের। গ্রæপ পর্বের ম্যাচগুলোতে কিন্তু সেই বার্তা দিয়ে রেখেছে রাশিয়া। আসরের সবচেয়ে আনকোরা, এমনকি ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও ৩২ দলের মধ্যে সবার পিছনের দল রাশিয়া। কিন্তু গ্রæপ পর্বে মিশর ও সউদী আরবের বিপক্ষে গতিময় ফুটবল উপহার দিয়ে করা ৮ গোল তাদের সমর্থ্যরে প্রমাণ দেয়। উরুগুয়ের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বের শেষ ম্যাচে যদিও তার হেরেছিল ৩-০ গোলে। তবে সেই ম্যাচে ১০ জনের দল নিয়েও তাদের আক্রমনাত্মক মনোভাব আলাদা করে নজর কেড়েছিল ফুটবল প্রেমীদের।
উরুগুয়ের বিপক্ষে করা ভুলগুলো নিশ্চয় এই ম্যাচে করতে চাইবে না রাশিয়া। কস্তা-ইসকো-ইনিয়েস্তা-সিলভার মত আক্রমণভাগকে তাই কঠিন পরীক্ষা দেয়া লাগতে পারে রাশিয়ার শক্ত রক্ষণের কাছে। সঙ্গে ৮১ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামের সমর্থন তো থাকছেই। সব মিলে জার্মানির পর দ্বিতয় বিশ্বচ্যাম্পিয় দল হিসেবে স্পেন যদি রাশিয়া থেকে বিদায় নেয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।
এর আগে সর্বশেষ ১৯৮৬ বিশ্বকাপে নক-আউট পর্বে পা রাখতে পেরেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে রাশিয়া হওয়ার পর প্রথমবারের মত এই পর্বে জায়গা করে নেয় দলটি। তবে এখানেই থামতে চয় না তারা। এমনটিই জানান স্বাগতিক স্বপ্নের সবচেয়ে বড় সারথী আর্তিম জুবা, ‘৩২ বছরে এই প্রথম আমরা নক-আউট পর্বে এসেছি। চলুন দেখা যাক আরো কতদুর যেতে পারি।’ প্রতিপক্ষকে সমীহ করে বলেন, ‘স্পেন শীর্ষ সারির দল হতে পারে কিন্তু অজেয় নয়। গ্রæপ পর্বের ভুলগুলোর হিসাব এখন বাদ। আমরা জানি স্পেনের বিপক্ষে আমাদের কি করা প্রয়োজন, যদিও স্পেনই ফেভারিট।’ ২৯ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের মতে, ‘ভালো দিনে যে কোন দল যে কাওকে হারিয়ে দিতে পারে।’
অন্যদিকে বিশ্বকাপে নিজেদের ফিরে পেতে এই ম্যাচই হতে পারে স্পেনের জন্য শেষ সুযোগ। এখন পর্যন্ত আসরে তিন গোল করা ডিয়াগো কস্তাকে জ্বলে উঠতে হবে আরো। প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে আরো নিখুঁত শিল্প রচনা করতে হবে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে। ওদিকে রক্ষণে পিকে-কারবাহাল-রামোসদের হতে হবে আরো দৃড়। নইলে আর্তিম জুবা, ডেনিস চেরিশেভ ও আলেক্সান্ডার গলোভিনদের আক্রমণে শেষ হতে পারে স্পেনের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপার স্বপ্ন।
স্পেনও এ বিষয়ে ভালোভাবেই অবগত। মিডফিল্ডার মার্কো অ্যাসেনসিও জানালেন তেমনি, ‘রাশিয়া যখন খেলবে তখন তাদের পিছনে থাকবে স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক। আমাদের কাছে তাই এটাই ফাইনাল ম্যাচ। জয় না পেলে বাড়ি ফিরতে হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ