মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরাক-সিরিয়ায় এককালের সাড়া জাগানো ইসলামিক স্টেট বা আইএস’র মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত ১২ সদস্যের ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরাক। গতকাল শুক্রবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির কার্যালয় একথা জানিয়েছে। স¤প্রতি জঙ্গি গোষ্ঠীটি আট বন্দিকে হত্যা করার পর এই পদক্ষেপ নেন প্রধানমন্ত্রী। আবাদি বুধবার এই জঙ্গিদের মৃত্যুদÐ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার নির্দেশ দিলে বৃহস্পতিবার তা কার্যকর করা হয়।
সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদির নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার ১২ মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত সন্ত্রাসীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। গত বুধবার ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা আট ব্যক্তির বিস্ফোরক দিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করা দেহ খুঁজে পায়। এর দুইদিন আগে সরকারের কাছে আইএস জঙ্গিদের করা একটি দাবির সময়সীমা শেষ হয়ে যায়।
আইএস সদস্যরা ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে অপহরণ করে ও অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তাদের ছয়জনকে দেখায়। জঙ্গিরা হুমকি দেয়, সরকার যদি আইএস-সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে গ্রেফতারকৃত নারী সুন্নি বন্দীদের মুক্ত করে না দেয় তাহলে অপহৃত নিরাপত্তাকর্মীদের হত্যা করা হবে। আইএসের দাবি, অপহৃত ব্যক্তিরা ইরাকের আধা-সামরিক বাহিনী হাশদ আল-শাবির সদস্য ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত করে জানা গেছে, অপহৃত ব্যক্তিদের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই হত্যা করা হয়েছে। হুমকি দেওয়া ওই ভিডিওটা ছিল আইএসের অপপ্রচার।
এদিকে সরকারের কড়া সিদ্ধান্ত নড়চড় হওয়ার উপায় নেই। ফলে ইরাকে ধরা পড়া ১০০ নারী ইসলামিক স্টেট জঙ্গির ফাঁসি শুধু সময়ের অপেক্ষা। মৃত্যুদÐের সাজা ঘোষণা হয়েছে মোট তিনশ’ জনের। যে কোনও মুহূর্তেই তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দর আল আবাদি সেরকমই নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, বন্দি জঙ্গিদের অনেকেই বিদেশি। বিশেষ করে যেসব নারী জঙ্গিরা ধরা পড়েছে তাদের বেশিরভাগই বিদেশি। তাদের বিরুদ্ধেও কোনও নরম মনোভাব দেখানো হবে না বলেই জানিয়েছে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
ধৃত মহিলা জঙ্গিদের বেশিরভাগই অধুনালুপ্ত সোভিয়েত অঞ্চলের বাসিন্দা। আছে কয়েকজন বেলারুশিয়ান।
গত ডিসেম্বরে আইএসের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত জয় পায় ইরাক সরকার। সেই অভিযানেই ধরা পড়ে জঙ্গিরা। অবশ্য পতন আসন্ন বুঝে অনেকেই এলাকা ছেড়ে বোরকা পরে পালানোর ছক করেছিল। প্রথমদিকে কয়েকজন সফল হয়। পরে আর তা আর সম্ভব হয়নি। মসুল ও সংলগ্ন এলাকার বন্দি শিবিরে রয়েছেন তেমনই বহু আইএস জঙ্গি। সূত্র : আল-জাজির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।