বাড়িতেই ফাইনাল দেখবেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট কাতারে
বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ দেখতে কাতারে যাচ্ছেন না আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তিনি জানান, আজ
সব শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব পেরিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় কাজানে কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ ‘সি’ গ্রæপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। মুখোমুখি দেখায় লাতিন পরাশক্তিরা এগিয়ে থাকলেও ফরাসিদের আত্মবিশ্বাস যোগাবে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে দলটির অতীত রেকর্ড। রোমাঞ্চকর এই ফটবল লড়াইয়ের আগে চলুন চোখ বুলিয়ে নেই দু’দলের কিছু তথ্য-উপাত্তে :
# এর আগে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছে ১১ বার। আর্জেন্টিনা জিতেছে ৬ বার, ফ্রান্সের জয় ২টি। বাকি তিন ম্যচ দেখেছে ড্র’র মুখ।
# তবে কখনো কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাতে পারেনি ফ্রান্স।
# মুখোমুখি হওয়া ১১ ম্যাচের আটটিতেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়াতে পারেনি ফরাসিরা।
# ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে দুইবার বিশ্বকাপ জিতেছে লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ১৯৯৮ সালে ঘরের মাঠে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জেতে ফ্রান্স।
# পেনাল্টি শুট আউট বাদ দিলে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের শেষ ১১ ম্যাচে ফরাসিদের হার মোটে একটি। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কাছে একমাত্র হারটি ১-০ গোলে।
# বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১৩ উপস্থিতির মধ্যে ১২ বারই নূন্যতম শেষ ষোলোয় পৌঁছেছে আর্জেন্টিনা। একমাত্র ২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে ছিটকে যায় লাতিন পরাশক্তিরা।
# বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এর আগে ৬৬৬ মিনিট খেলে কোনো গোল করতে পারেননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। অবশ্য ফ্রান্সের বিপক্ষে সবশেষ গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তিনিই। ২০০৯ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ফরাসিদের বিপক্ষে গোল করেছিলেন বার্সেলোনা তারকা, দল জিতেছিল ২-০ গোলে।
# ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে দেখা যেতে পারে পিএসজির পাঁচজন খেলোয়াড়কে। ফ্রান্স দলে আছেন লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের তিন সদস্য- কিলিয়ান এমবাপে, আলফুঁস আরিওলা ও প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আর্জেন্টিনায় আছেন আরও দুজন, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও জিওভানি লো সেলসো। অবশ্য ডি মারিয়া ও এমবাপে বাদে বাকিদের শুরুর একাদশে থাকার সম্ভাবনা সামান্যই।
# আন্তর্জাতিক ফুটবলে আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ গোল করেছেন লিওনেল মেসি। আর সর্বোচ্চ ১৪৬ ম্যাচে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন হাভিয়ের মাচেরানো। দুজনেই আছেন এবারের বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনা দলে।
# আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড গঞ্জালো হিগুয়াইন দেশের হয়ে নিজের শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।
# আর্জেন্টিনার ছয়জনের (এভার বানেগা, গ্যাব্রিয়েল মের্কাদো, হাভিয়ের মাসচেরানো, লিওনেল মেসি, মার্কোস আকুনা ও নিকোলাস ওতামেন্দি) ও ফ্রান্সের তিনজনের (পল পগবা, বেøইস মাতুইদি ও কোরোঁতাঁ তোলিসো) একটি করে হলুদ কার্ড রয়েছে। শেষ ষোলোতে একটি হলুদ কার্ড পেলেই এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন তারা।
# ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৯ ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন রেমোঁ ডমেনেক ও দিদিয়ে দেশম। শেষ ষোলোতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে কোচের দায়িত্ব পালনের রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নেবেন দেশম।
# গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচে তিনটি গোল করেছে ফ্রান্স যার একটি এসেছে স্পট কিক থেকে ও আরেকটি আত্মঘাতী। হজম করেছে এক গোল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।