রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাতক্ষীরায় গলদা চিংড়ির দাম নি¤œমূখি হওয়ায় মাছ চাষীরা লোকসানের আশংকায় চিন্তিত। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে গলদার দাম কমে গেছে, এমনটি জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ১১ হাজার ৬৩০টি ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৫৮টি, তালায় ৬ হাজার ৪৫০টি, দেবহাটায় ৫২৫টি, কলারোয়ায় ৪৭৫টি, কালিগঞ্জে ১২৫টি, আশাশুনিতে ৮১৯টি ও শ্যামনগরে ২১৮টি। তবে, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার চাষী সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ ওহিদুল ইসলাম জানান, তিনি গত কয়েক বছর ধরে অন্যান্য মাছের পাশাপাশি গলদা চিংড়ি মাছের চাষ করে আসছেন। প্রতি বছর উৎপাদনও খুবই ভালো হয়ে থাকে। তবে, আশানুরুপভাবে বাজারে মাছের দাম না পাওয়ায় তিনি লোকসানের আশংকা করছেন। তিনি জানান, মাছ চাষের খরচ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ মাছের ন্যায্য দাম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
দেবহাটা ও তালা উপজেলার কয়েকজন চিংড়ী চাষী ইনকিলাবকে জানান, তারা বাগদা চিংড়ির পাশাপাশি গলদা চিংড়ি উৎপাদন করে আসছেন ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে। চলতি মৌসুমেও তারা শতাধিক বিঘা পরিমাণ জমিতে গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে বড় আকারের গলদা চিংড়ি বাজারে বিক্রিও করেছেন । কিন্তু বাজারে চাহিদা বেশি না থাকায় সল্প মুল্যে রপ্তানিজাত গলদা চিংড়ি বিক্রি করতে হয়েছে।
প্রতি কেজি গলদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করতে হেেয়ছে। যা এর আগে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে তারা জানান। এতে করে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুর রব জানান, গত দুই দশকের মধ্যে গতবছর এবং চলতি মৌসুমে গলদা চিংড়ির দাম সর্বনিম্ন যাচ্ছে। তিনি বলেন, চাষিদের রক্ষা করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন করে আন্তর্জাতিক বাজার তৈরি করতে হবে গলদা চিংড়ির।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছেন, রপ্তানিজাত চিংড়ি হিসেবে বাগদার চেয়ে গলদা চাষে ঝুঁকি কম থাকায় চাষিরা ব্যাপক হারে চিংড়ি উৎপাদন করছেন। এটি লোনা ও সাধু পানির পাশাপাশি পুকুর, ডোবা ও বিলসহ যে কোনো জলাশয়ে উৎপাদনযোগ্য। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা কমে যাওয়ায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন ।
মৎস্য অফিস সূত্র আরো জানিয়েছেন, গত ২ বছর ধরে ইউরোপে অর্থনৈতিক মন্দা যাওয়ার কারণে তারা ব্যয়বহুল পণ্য সামগ্রী আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। ফলে গলদা চিংড়ি ইউরোপে অন্তত ৭০ শতাংশ রপ্তানি কমে গেছে। এছাড়া, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রপ্তানিজাত চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশি গলদা চিংড়ির গুণগতমান নষ্ট করে দিয়েছে। ফলে ইউরোপ আমেরিকার বাজারে মাছটির চাহিদায় মারাত্মক ধ্বস নেমেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।