রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : আন্তর্জাতিক বাজারে গলদার চাহিদা বাড়ায় সাতক্ষীরায় চিংড়ি চাষীরা গলদা চিংড়ির চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান চাষীরা। আগে এক সময় জেলার মৎস্য চাষীরা ব্যাপকভাবে বাগদার চাষ করতে। বর্তমানে বাগদা উৎপাদন কমে গেছে। বাগদা চাষে ভাইরাস ও অন্যান্য মোড়ক লাগায় মৎস্য চাষীরা গলদার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। বাগদার তুলনায় এটি ঝুঁকি কম থাকায় জেলায় গলদার চাষ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরাতে গলদা উৎপাদন লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন জেলা মৎস্য অধিদপ্তর। জেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরার সাতটি উপজেলাতে ১১ হাজার ৫২২টি রেজিস্ট্রেশনকৃত ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ করা হয়েছে। প্রায় ২৫ হাজার চাষী ১০ হাজার হেক্টর জমিতে এবার গলদা চিংড়ি চাষ করেছে। চলতি মৌসুমে ৭ হাজার মেট্রিকটন গলদা উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে জেলায়। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের গলদা চাষী নজরুল ইসলাম জানান, তিনি ৮০ বিঘা জমিতে গলদা চাষ করেছেন। এর আগে তিনি বগদা চিংড়ির চাষ করতেন। কয়েক বছর ধরে ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বাগদা চিংড়ি উৎপাদনে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হন। গেল বছর ৬০ বিঘা জমিতে গলদা উৎপাদন করে ২৫ লাখ টাকা লাভ হয় তার। ৬০ বিঘা পরিমাণ মিষ্টি পানির ঘের করতে তার ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। সমস্ত খরচ উঠিয়েও ২৫ লাখ টাকা মুনাফা হয় তার। তাই এবার আরো বেশি পরিমাণ জমিতে গলদা চাষ করছেন তিনি। তিনি আর বলেন, এবার ৮০ বিঘার গলদা ঘেরে উৎপাদন খরচ হবে প্রায় ২০ লাখ টাকার মত। তবে গত মৌসুমের চেয়ে এবার গলদা উৎপাদন ভালো বলে জানান তিনি। ফলে এবার ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি। জেলার আশাশুনি উপজেলার গলদা চাষী কার্তিক চন্দ্র দাশ জানান, ২০ বিঘার একটি মিঠা পানির ঘেরে রুই, কাতলা ও মৃগেলের পাশাপাশি গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ১০ হাজার গলদা পোনা সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করেন তিনি। এপর্যন্ত প্রতি কেজি ১০-১২ পিচে গ্রেড হয়েছে। যা বাজারে ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৩শ’ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। আগামীতে এককভাবে গলদা চাষ করবেন বলে ভাবছেন তিনি। সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদার পাশাপাশি গলদার চাহিদা বেড়েছে। তাছাড়া জেলার প্রান্তিক চাষীরা বাগদার তুলনায় গলদার দিকে ঝুঁকছে। বাগদার তুলনায় গলদা চাষে ঝুঁকি কমও লাভ বেশি। এটি মিষ্টি পুকুর, ডোবা ও বিলসহ যে কোনো স্বাধু পানিতে উৎপাদনযোগ্য। ফলে সাতক্ষীরাতে গলদা চাষ বেড়ে চলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।