শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
আহসান সাব্বির
ওপার ভাবনা
হাতছানিতে ডাকছে মরণ যাচ্ছে জীবন অস্থাচল,
মিশবে দেহ মাটির সাথে থাকবে না আর অঙ্গে ঢল।
উড়াল দিলে জান পাখিটি থাকবে পড়ে নিথর শব,
থাকবে না আর রঙিন ভুবন সাঙ্গ হবে রঙ্গ সব।
মরণ পরে তোমার বসত আঁধার ঘেরা ওই কবর,
কেমন হবে সেই সে আবাস কেউ কি রাখে তার খবর?
বিচার হবে হাশর মাঠে সূক্ষ হবে সেই বিচার,
বান্দা পাপী বিকট স্বরে করবে ভয়ে জোর বিকার।
ক্ষুৎপিপাসায় করবে সেদিন পুঁজ মেশানো রক্ত পান,
তপ্ত লাভা তরল লোহায় দগ্ধ হবে দু’চোখ কান।
নরক আগুন ধরবে ঘিরে জ্বলবে দেহ তার ভিতর,
ফুটবে মগজ, পড়বে গলে ঝলসে যাবে রূহ-গতর।
অর্থ -প্রতাপ, গর্ব-প্রভাব সেদিন হবে সব বিফল,
সহায় হবে সেদিন শুধুই ধরায় করা নেক আমল।
থাকতে সময় কর্মে তোমার নাও হে গেথে দ্বীন-সিরাত,
সফল তুমি হবেই সেদিন পার হবে ওই পুলসিরাত।
ঈমান আনো আমল করো আমর বিল মারুফ আজ,
স্বর্গ পাবে রবের ক্ষমায় উঠবে মাথায় দীপ্ত তাজ।
সৌরভ হোসেন
ঘুমের রঙ
সীমান্তের কাঁটা ঘুমিয়ে গেলে আমাকে ভাত বেড়ে দিও
বাটির ঝোলে মায়ের মাখো মাখো আদর, শালুকফুলের ¯েœহ
হাঁটু মুড়ে পাত পেড়ে বসে যাব আমি
চুম্বনের পিঠ ফুঁড়ে গেঁথে দিও দোয়েলের গা মাখা রোদ
নদীর বুকে হাঁটু ডুবিয়ে নেমে আসা বিহেনী সকাল
ধানের থোড়ে হেঁটে বেড়ানো পোয়াতি চাঁদ
বালিশের পিঠ থেকে খুঁটে নিও আহত রাতের নিহত ফুল
তারপর আসমান থেকে কাঁচা সোনার মতো জ্যোৎ¯œা নেমে এলে
ধুন গেয়ে উঠবে আমার একতারা
আশ্বিনের হলুদ বিকেল।
তারকাঁটাহীন দেশের সিতেনে ঘুমোব আঁচলের হাওয়া খেয়ে
আমার ঘুমের রঙ হবে হলুদবাটা গমের শীষ
এই রঙেই তো মিশে আছে আমার সবটুকু প্রেম
সবটুকু দেশ।
হাসিবুর রহমান
হাসপাতাল
কালের ¤øান ¯্রােতে এসেছিলে তুমি
কখনো ক্যান্সার কখনো বহুরোগের ত্রাণ হয়ে
আজও তোমার কাছে গেলে নাকে সেই
উগ্র সোদা গন্ধটা আমাকে উত্তলী বিকল করে দেয়
কত অন্ধ বোবা, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া প্রাণ ফিরিয়েছ তুমি
আবার কত কত অসহায় ভিটে ছাড়া আজ তোমার কারণে
গভীর রাতে নির্মম প্রসব বেদনা জেগে ওঠে তোমার বুকে
শূন্যতা ও একাকিত্বের মাঝেও তুমি সেবাই অটল।
কত প্রাণ রাস্তার মোড়ে নিঃশব্দে হা করে
আকাশের দিকে চোয়ে থাকে।
প্রকৃতির কাছে অনেকের অনেক স্বপ্ন বিদ্ধস্ত হয়ে যায়।
আজ পৃথিবীও ডুকরে ডুকরে কাঁদে কঠিন বেদনার জ্বরে।
তুমি এসো পৃথিবীর সব ব্যথা মুছে দিতে পার নাকি?
যেখানে থাকবে না সাম্প্রদায়িকতার ফাপা মানুষ।
মুচি, চÐাল, শক, হুন তোমার পদতলে অমৃত পান করবে।
লিটল ম্যাগ
জলকণা
জলকণা একটি ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র। সম্পাদনা করেছেন রাজু ইসলাম। কবিতা বিভাগ শুরু হয়েছে আসাদ চৌধুরীকে দিয়ে। এরপর রয়েছে অসীম সাহা, নির্মলেন্দু গুণ, রফিক আজাদ। এরপর রয়েছে আব্দুল হাই শিকদারের গদ্য। সাজ্জাদ কাদিরের প্রবন্ধ। তারপর আবার কবিতা। মনে হলো এসব লেখা নতুন নয়। নতুন লেখা দিয়ে সংখ্যাটি বের করলে গুণগত মান ভালো হতো। এ ছাড়া আরো অনেকের লেখা সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রকাশনা : জলকণা সাহিত্য পরিষদ, দোহার। সামনে আরো উত্তরণ কামনা করি। প্রচ্ছদ : সাদামাটা। ৬৪ পৃষ্ঠা। মূল্য রাখা হয়নি।
পদাবলি
আহসান সাব্বির
ওপার ভাবনা
হাতছানিতে ডাকছে মরণ যাচ্ছে জীবন অস্থাচল,
মিশবে দেহ মাটির সাথে থাকবে না আর অঙ্গে ঢল।
উড়াল দিলে জান পাখিটি থাকবে পড়ে নিথর শব,
থাকবে না আর রঙিন ভুবন সাঙ্গ হবে রঙ্গ সব।
মরণ পরে তোমার বসত আঁধার ঘেরা ওই কবর,
কেমন হবে সেই সে আবাস কেউ কি রাখে তার খবর?
বিচার হবে হাশর মাঠে সূক্ষ হবে সেই বিচার,
বান্দা পাপী বিকট স্বরে করবে ভয়ে জোর বিকার।
ক্ষুৎপিপাসায় করবে সেদিন পুঁজ মেশানো রক্ত পান,
তপ্ত লাভা তরল লোহায় দগ্ধ হবে দু’চোখ কান।
নরক আগুন ধরবে ঘিরে জ্বলবে দেহ তার ভিতর,
ফুটবে মগজ, পড়বে গলে ঝলসে যাবে রূহ-গতর।
অর্থ -প্রতাপ, গর্ব-প্রভাব সেদিন হবে সব বিফল,
সহায় হবে সেদিন শুধুই ধরায় করা নেক আমল।
থাকতে সময় কর্মে তোমার নাও হে গেথে দ্বীন-সিরাত,
সফল তুমি হবেই সেদিন পার হবে ওই পুলসিরাত।
ঈমান আনো আমল করো আমর বিল মারুফ আজ,
স্বর্গ পাবে রবের ক্ষমায় উঠবে মাথায় দীপ্ত তাজ।
সৌরভ হোসেন
ঘুমের রঙ
সীমান্তের কাঁটা ঘুমিয়ে গেলে আমাকে ভাত বেড়ে দিও
বাটির ঝোলে মায়ের মাখো মাখো আদর, শালুকফুলের ¯েœহ
হাঁটু মুড়ে পাত পেড়ে বসে যাব আমি
চুম্বনের পিঠ ফুঁড়ে গেঁথে দিও দোয়েলের গা মাখা রোদ
নদীর বুকে হাঁটু ডুবিয়ে নেমে আসা বিহেনী সকাল
ধানের থোড়ে হেঁটে বেড়ানো পোয়াতি চাঁদ
বালিশের পিঠ থেকে খুঁটে নিও আহত রাতের নিহত ফুল
তারপর আসমান থেকে কাঁচা সোনার মতো জ্যোৎ¯œা নেমে এলে
ধুন গেয়ে উঠবে আমার একতারা
আশ্বিনের হলুদ বিকেল।
তারকাঁটাহীন দেশের সিতেনে ঘুমোব আঁচলের হাওয়া খেয়ে
আমার ঘুমের রঙ হবে হলুদবাটা গমের শীষ
এই রঙেই তো মিশে আছে আমার সবটুকু প্রেম
সবটুকু দেশ।
হাসিবুর রহমান
হাসপাতাল
কালের ¤øান ¯্রােতে এসেছিলে তুমি
কখনো ক্যান্সার কখনো বহুরোগের ত্রাণ হয়ে
আজও তোমার কাছে গেলে নাকে সেই
উগ্র সোদা গন্ধটা আমাকে উত্তলী বিকল করে দেয়
কত অন্ধ বোবা, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়া প্রাণ ফিরিয়েছ তুমি
আবার কত কত অসহায় ভিটে ছাড়া আজ তোমার কারণে
গভীর রাতে নির্মম প্রসব বেদনা জেগে ওঠে তোমার বুকে
শূন্যতা ও একাকিত্বের মাঝেও তুমি সেবাই অটল।
কত প্রাণ রাস্তার মোড়ে নিঃশব্দে হা করে
আকাশের দিকে চোয়ে থাকে।
প্রকৃতির কাছে অনেকের অনেক স্বপ্ন বিদ্ধস্ত হয়ে যায়।
আজ পৃথিবীও ডুকরে ডুকরে কাঁদে কঠিন বেদনার জ্বরে।
তুমি এসো পৃথিবীর সব ব্যথা মুছে দিতে পার নাকি?
যেখানে থাকবে না সাম্প্রদায়িকতার ফাপা মানুষ।
মুচি, চÐাল, শক, হুন তোমার পদতলে অমৃত পান করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।