Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আছে ঘাট-পন্টুন তবুও ভোগান্তি

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৮, ১২:০১ এএম


 রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরমÐল লঞ্চঘাটে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। ঘাট আছে, পল্টুনও আছে। তবে একটা থেকে আরেকটা বিচ্ছিন্ন। জোয়ারের সময় হাঁটুপানিতে নেমে লঞ্চে ওঠানামা করতে হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ইউনিয়নের চরমÐল লঞ্চঘাট থেকে প্রায় ৪০ গজ দূরে অল্প পানির মধ্যে একটি পল্টুন রয়েছে। সেখানে পানি অল্প থাকায় পল্টুনে লঞ্চ ভেড়ানো যায় না। তাই পল্টুনের পরিবর্তে ঘাটলায় লঞ্চ ভেড়ানো হয়। তবে ঘাটলা নিচু থাকায় লঞ্চে ওঠানামায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আবার জোয়ারের সময় ঘাটলা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাঁটুপানিতে নেমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করতে হয়।
চরমÐল লঞ্চঘাটের কয়েকজন যাত্রী জানায়, তিন মাস আগে চরমÐল লঞ্চঘাটে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাবিøউটিএ) একটি পল্টুন স্থাপন করে। তবে ঘাট থেকে দূরে রাখার কারণে পল্টুনটি যাত্রীদের কোন উপকারেই আসে না। অথচ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক যাত্রী লঞ্চে আসা যাওয়া করে। লঞ্চযাত্রী আইয়ুব খান বলেন, এখানে ঘাট টিকেট কাটলেও কোন সেবা নেই। দীর্ঘদিন পর একটা পল্টুন দিয়েছে, তাও কাজে আসছে না। চরমÐল লঞ্চঘাটে টিকেট কাটার দায়িত্বে নিয়োজিত জহিরুল ইসলাম বলেন, পল্টুন লাগিয়ে লোকজন চলে গেছে। পল্টুনে লঞ্চ-ট্রলার কিছুই ঘাট দিতে পারে না। এই পল্টুন কোন উপকারেই আসে না। চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া বলেন, ঘাটের সঙ্গে পল্টুন থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে। এটি ঘাটের সঙ্গে স্থাপন করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডাবিøউটিএ) পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও নদীবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভোগান্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ