পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু জাফর অনিক হত্যা মামলার দুই আসামি যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন তুষার ও এখলাসুর রহমানকে ফিরিয়ে আনা হলেও চট্টগ্রামের অনেক সন্ত্রাসী এখনো ভারতে পালিয়ে আছে। মোস্ট ওয়ান্টেড এসব আসামিদের কারণে ঝুলে আছে আলোচিত বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার তদন্ত। হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও সুনীল দে দীর্ঘদিন থেকে ভারতে। ভারত থেকে দুবাই পালিয়ে গেছে আলোচিত ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিন অপহরণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল কাশেম চৌধুরী। নগরীর হালিশহরের যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ইলিয়াসসহ বেশ কয়েকজন ভারতে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামের শীর্ষ অপরাধীদের ভারত কানেকশন দীর্ঘদিনের। বিগত ২০০৪ সালে এলিট বাহিনী র্যাবের তৎপরতা শুরু হওয়ার পর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকেই ভারতে পালিয়ে যায়। বর্তমান সরকারের আমলে তাদের অনেকে দেশে ফিরে এসেছে। অনেকে এখনো ভারতে অবস্থান করছে। সাম্প্রতিককালে আলোচিত কয়েকটি হত্যা মামলার বেশ কয়েকজন আসামিও ভারতে পালিয়ে গেছে। তাদের কাউকেই দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ভারতের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই এমন অজুহাতে সন্ত্রাসীদের দেশে আনার উদ্যোগ নেয় না প্রশাসন। তবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান অপরাধীদের ভারত কানেকশন ভাঙ্গার ঘোষণা দিয়েছেন। অনিক হত্যা মামলার দুই আসামিকে এক সপ্তাহের মধ্যে ফিরিয়ে আনা গেছে এটাই তার বড় প্রমাণ।
গত ১৭ জুন রাতে নগরীর দামপাড়া পল্টন রোডে আওয়ামী লীগ নেতার পুত্র আবু জাফর অনিককে হত্যার পর ভারতে পালিয়ে যায় প্রধান আসামি মহিউদ্দিন তুষার ও এখলাসুর রহমান। ১৯ জুন বেনাপোল ইমিগ্রেশনে তাদের দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। বাংলাদেশের অনুরোধে সাড়া দিয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ) গত শুক্রবার কলকাতা ফ্রি স্ট্রিট স্কুল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার তাদের দুজনকে বিশেষ ব্যবস্থায় বেনাপোল সীমান্তে এনে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে গতকাল মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়। ভারতীয় গণমাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ওই দুজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলা হলেও এখানকার পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, এ ধরনের কোনো চুক্তির আওতায় নয়; বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হলে তাতে দীর্ঘ সময় লেগে যেত। এ দুই আসামিকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে গতকাল দামপাড়া পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিএমপি কমিশনার। তিনি দাবি করেন, কলকাতা পুলিশের সাথে বিশেষ করে এসটিএফ প্রধানের সাথে সু-সম্পর্কের কারণে এ দুই আসামিকে দ্রæত দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ঈদের পরের দিন রাতে অনিককে খুনের পর একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে প্রধান দুই আসামি তুষার ও এখলাস ঢাকায় চলে যান। ১৯ তারিখ সকালে বেনাপোল হয়ে ভারতের কলকাতায় পৌঁছেন তারা। ভারত থেকে তারা মালয়েশিয়ায় চলে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। গতকাল বেনাপোল সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে আনার পর তুষারকে নিয়ে তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তাদের ব্যাটারী গলির বাসা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। অনিককে হত্যা করার সময় তুষার ওই পিস্তল হাতে গুলি ছুঁড়েছিল।
তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৪নং আসামী জোনায়েদ আহম্মদ ইমন (১৯) ও তার বড় ভাই ৫নং আসামী জোবায়েদ আহম্মদ শোভনকে (২২) কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা নগরীর দামপাড়া ১নং গলির বাসিন্দা মোঃ সগির আহম্মদের পুত্র। অনিক খুনের পর তারাও চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা পালিয়ে যায়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী অনিককে খুন করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানিয়েছে, বড় ভাইদের নির্দেশেই তারা খুন করেছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না। যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন খুনের আসামিসহ আরও যারা ভারতে পালিয়ে আছে তাদেরও দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।